স্টাফ রিপোর্টার
অস্ট্রেলিয়ায় বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে নির্বাচন পরবর্তী বাংলাদেশ গঠনে অস্ট্রেলিয়ার সিনেটর ও এমপিদের সহযোগিতা চেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। গত ৭ সেপ্টেম্বর সিডনির লাকেম্বা লাইব্রেরি হলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অস্ট্রেলিয়া বিএনপির সভাপতি এএফএম তাওহিদুল ইসলাম। সঞ্চালনায় ছিলেন প্রকৌশলী মশিউর রহমান মুন্না, শফিউল আলম শিফক ও আবিদা সুলতানা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমির খসরু বলেন, “অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থানরত বিএনপির নেতাকর্মীদের আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণের ফলে আমরা ইতিবাচক ফল পেয়েছি। অস্ট্রেলিয়ার সিনেটর ও এমপিরা বাংলাদেশ বিষয়ক নানা বিষয়ে ইতোমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। নির্বাচনের পর বিএনপি সরকার গঠন করলে, তাদের সহযোগিতা আরও প্রয়োজন হবে।” তিনি বলেন, “আপনারা শহীদ জিয়ার আদর্শে বিশ্বাসী, বিদেশে থেকেও দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। এই প্রচেষ্টা যেন থেমে না যায়।”
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ রাশেদুল হক। তিনি বলেন, “একটি চক্র বাংলাদেশে নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করছে। তাদের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে। আমরা প্রস্তুত আছি—যারা বাধা দিতে চাইবে, তাদের দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে।”
তিনি জানান, আগামী জাতীয় নির্বাচন ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া সুখবর দিয়ে বলেন, “এবার অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশিরা নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন। পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ার ভিসার জন্য এখন আর দিল্লি যেতে হবে না, ঢাকা থেকেই আবেদন করা যাবে।” তিনি আরও দাবি করেন, এই প্রক্রিয়ায় অস্ট্রেলিয়া বিএনপিরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
অনুষ্ঠানে এএফএম তাওহিদুল ইসলাম বলেন, “আমরা তারেক রহমানের মধ্যে শহীদ জিয়াউর রহমানের আদর্শের প্রতিফলন দেখি। তিনি সাধারণ জীবন যাপন করেন—যা একজন নেতৃত্বদানের যোগ্য মানুষের গুণ।”
তিনি আরও বলেন, “শহীদ জিয়া ছিলেন সততার প্রতীক। তার সততা নিয়ে আন্তর্জাতিক নেতারাও প্রশংসা করেছেন। আজ বিএনপি ৪৭ বছরের সংগ্রাম, ত্যাগ আর ঐতিহ্য নিয়ে যে অবস্থানে দাঁড়িয়ে—তার জন্য আমরা গর্বিত।” অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন স্বেচ্ছাসেবক দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ অমি ফেরদৌস। তিনি বিএনপির ইতিহাস, সংগ্রাম ও অগ্রযাত্রার কথা তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়, যেখানে ৪০ জন শিশু অংশ নেয়।
এ ছাড়া জিয়া সাইবার ফোর্স (জেডসিএফ) অস্ট্রেলিয়া মহাদেশ শাখার নতুন কমিটির আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম শিবলি ও সদস্য সচিব বাদশা বুলবুলকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, যার তত্ত্বাবধানে ছিলেন সাংস্কৃতিক সম্পাদক নামিদ ফারহান।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অস্ট্রেলিয়া বিএনপির সহ-সভাপতি শাহ আলম, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস কাঞ্চন শহীন, যুগ্ম সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত সবুজ, যুব দলের জাহাঙ্গীর আলম ও ফারুক হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের মশিউর রহমান তুহিন ও জাহিদুর রহমান।
এ ছাড়া নেতৃবৃন্দের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন খাজা দাউদ হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার সাইফুল ইসলাম, রেজনুর রহমান রুপন, মোস্তাফিজুর রহমান লাবু, জুম্মন হোসেন, মোকসেদ আলম দীপু, মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, দেলোয়ার হোসেন, মোহাম্মদ শাহেদ, হান্নান রানা, মফিজুল ইসলাম সাগর, আব্দুল আলীম, খাদিজা জামান রুপম, হাসনা হেনা, আজিজুন নাহার মালা, মুরাদ হোসেন, মোহাম্মদ আলী, ওয়ারিস মাহমুদ, আহসান হাবিব, আবু বকর সিদ্দিক, শাহীনূর রহমান, আবুল হোসেন, হারুনর রশিদ, মোহাম্মদ নূরুল হক, ফখরুল হক মুন্না, মোবারক হোসেন, শফিকুল ইসলাম ও আসলাম খান প্রমুখ।