নাসরিন আহমেদ
সিনিয়র ইমিগ্রেশন কনসালটেন্ট, নিউেইয়র্ক
নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর প্রথম মেয়াদে অভিবাসন সংক্রান্ত যে কঠোর পদক্ষেপগুলো নিয়েছিলেন, এবার তা বাস্তবায়নের পথে এগুবেন এটা মোটামুটি নিশ্চিত। তাঁর নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি যে ঘোষণা দিয়েছেন, তা যদি সত্যি হয় তাহলে লাখ লাখ অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিস্কারের জন্য ব্যপক অভিযান শুরু হবে। আর এ অভিযানে এবার মার্কিন সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। কাগজপত্রবিহীন অভিবাসী খেদানোর এ অভিযান শুধু বাসা-বাড়ি কিংবা আশ্রয়স্থল নয়, কর্মস্থল পর্যন্ত বিস্তৃত হবে । এরসাথে , যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে দুর্ভেদ্য দেয়াল তৈরির কাজও শুরু করবে ট্রাম্পের সরকার। এটিই আমেরিকা অভিমুখে আসা সারা বিশ্বের অভিবাসন প্রত্যাশীদের সবচেয়ে সহজ পথ ছিলো এতোদিন। মোটকথা, ২০২৫ হতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন প্রত্যাশী ও অবস্থানরতদের জন্য চরম সংকটের বছর। প্রথমেই যার শিকার হতে চলেছেন, কাগজপত্রবিহীন ১১ মিলিয়ন অভিবাসী।
অভিবাসীদের ট্রাম্প কেন সহ্য করতে পারেন না ?
অভিবাসন সংক্রান্ত ট্রাম্পের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তাঁর রাজনৈতিক আমেরিকার জন্য একটি হুমকি হিসেবে তুলে ধরেছেন এবং তাঁর বক্তব্য অনেকসময় জাতিগত বিরোধকে উস্কে দিয়েছে। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে তিনি মন্তব্য করেছিলেন যে, যুক্তরাষ্ট্রে আসা অভিবাসীরা ” প্রকৃত মার্কিনীদের রক্তকে বিষাক্ত করছে” । গত বছরের ডিসেম্বরেও তিনি মন্তব্য করেন যে, যেসব অবৈধ অভিবাসী খুনের সাথে জড়িত তাদের “খারাপ জিন” রয়েছে। ট্রাম্পের এসব অভিবাসনবিরোধী পদক্ষেপের আইনি বৈধতা, নৈতিকতা এবং এর সামাজিক প্রভাব নিয়ে বিশ্বব্যপীই বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। মুলত: কট্টরপন্থী মার্কিন নাগরিকদের পক্ষ নিয়েই ট্রাম্প এই নীতি নিয়েছেন। যাতে অনেকেই আশঙ্কা করছেন যে এসব পদক্ষেপ মানুষের নাগরিক ও মৌলিক মানবাধিকার বিরুদ্ধ। ট্রাম্পের অভিবাসন নীতি যা হচ্ছে এবার-
(১) গণ দেশান্তর (ম্যাস ডিপোর্টেশন)
ট্রাম্প তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদ নিশ্চিত করার আগেই অবৈধ অভিবাসীদের গণ দেশান্তর করার পরিকল্পনাকে তাঁর অভিবাসন আলোচনার কেন্দ্রীয় বিষয় হিসেবে তুলে ধরেছেন। তিনি এটি “আমেরিকার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অভ্যন্তরীণ দেশান্তর অভিযান” হিসেবে বর্ণনা করেছেন, যার মধ্যে প্রায় ১১ মিলিয়ন অবৈধ অভিবাসীকে বহিষ্কার করার পরিকল্পনা অন্তর্ভুক্ত। ট্রাম্প প্রশাসনের লক্ষ্য হল এই প্রক্রিয়াকে দ্রুততর করা, যাতে আইনি শুনানির প্রয়োজন ছাড়াই অবৈধ অভিবাসীদের দেশ থেকে বের করে দেওয়া যায়।
(২) টম হোমান ও স্টিফেন মিলার আতংক
সাবেক পুলিশ ও অভিবাসন কর্মকর্তা টমাস ডগলাস হোমান তথা টম হোমানকে সীমান্ত রক্ষার দায়িত্ব দিতে চলেছেন নব-নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট। পাশাপাশি, অভিবাসন বিষয়ক হক স্টিফেন মিলারকে ডেপুটি চিফ অব স্টাফ হিসেবে নিয়োগ দেয়ার কথা জানিয়েছে ট্রাম্প।
মিলার এবং হোমান যদি এক সাথে কাজ শুরু করেন তবে তা হবে অভিবাসীদের জন্য ”মরার ওপর খাড়ার ঘাঁ”। মিলার এরিমধ্যে গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, অবৈধ অভিবাসীদের আটক করে শিবিরে রাখা উচিত, যতক্ষণ না তারা দেশে ফেরত চলে যায়।
অন্যদিকে, হোমানকে ‘সীমান্ত সম্রাট’ (বর্ডার জার) নামে অভিহিত করেন ট্রাম্প। এর আগেও ট্রাম্প প্রশাসনে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইস) এজেন্সির পরিচালক হিসেবে অভিবাসী নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে ছিলেন হোমান। এর আগে ওবামা প্রশাসনেও তিনি আইসের নির্বাহী সহযোগী পরিচালক ছিলেন। ট্রাম্পের নতুন এই যোদ্ধা ‘ঝেঁটিয়ে’ বিদায় করবেন অবৈধদের, এমনটাও ভাবছেন বিশ্লেষকরা। নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্পের কথাবার্তাতেও এ ধরনের মনোভাবের প্রকাশ পেয়েছে।
(৩) সেনাবাহিনীকে অভিবাসন ব্যবস্থাপনায় ব্যবহার
ট্রাম্পের পরিকল্পনার একটি বিতর্কিত পদক্ষেপ হলো অভিবাসন আইন বাস্তবায়নের জন্য সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করতে চাচ্ছেন। “এলিয়েন এনিমিজ অ্যাক্ট ১৯৭৮” এবং “বিদ্রোহ আইন” এর মাধ্যমে সেনাবাহিনীকে অভিবাসন আইন প্রয়োগে যুক্ত করার প্রস্তাবটি আইনি ও নৈতিক প্রশ্ন তুলেছে। তিনি বলেছেন, হাজার হাজার সেনাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ সীমান্তে পাঠানো হবে এবং ফেন্টানিলের সরবরাহ বন্ধের জন্য মার্কিন নৌবাহিনীকে ব্যবহার করা হবে। অভিবাসনকে নিরাপত্তার ঝুঁকি এবং সকল অবৈধ অভিবাসীকে নিরাপত্তা হুমকি হিসেবে দেখিয়ে এই কাজটি করতে যাচ্ছেন ট্রাম্প।
(৪) কর্মস্থলে অভিযান
ট্রাম্প কাগজপত্র বিহীন অভিবাসীদের কর্মস্থলে অভিযান আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছেন। এই কৌশল অনুযায়ী, যেসব শিল্পে অবৈধ শ্রমিকের সংখ্যা বেশি, সেখানে অভিবাসন আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ করা হবে। এর ফলে মার্কিন বেকারদের জন্য কাজের সুযোগ তৈরি হবে। যা দেশটির অর্থনীতিকে শক্তিশালী করবে বলেও মনে করেন ট্রাম্প। তবে, এই পদক্ষেপের বাস্তব প্রভাব আরও বড় হতে পারে, এবং স্থানীয় অর্থনীতি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সমালোচকরা বলছেন, এই ধরনের অভিযান অভিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে ভয়ের সৃষ্টি করবে এবং পরিবারের ভাঙন ঘটাবে।
(৫) সীমান্ত দেওয়াল সম্প্রসারণ
মেক্সিকো ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ২০০০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে, যেখানে প্রথম মেয়াদে তিনি প্রায় ৬০০ কিলোমিটার দেওয়াল নির্মাণ করেছিলেন। রিপাবলিকানরা ২০২৪ সালের রিপাবলিকান কনভেনশনে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, “আমরা সীমান্তে দেওয়াল নির্মাণ সম্পূর্ণ করব।”
ট্রাম্পের সমর্থকরা দাবি করছেন, এটি জাতীয় নিরাপত্তার জন্য অপরিহার্য। তবে তার বিরোধীরা বলেন, এটি সম্পদের অপব্যবহার এবং একটি ভুল সিদ্ধান্ত। বিশেষজ্ঞদের মতে, অভিবাসন সমস্যা সমাধানের জন্য রিফর্ম প্রয়োজন, শাস্তিমূলক ব্যবস্থার পরিবর্তে রিফর্ম প্রয়োজন।
(৬) “মেক্সিকোতে অবস্থান” নীতি পুনর্বহাল
ট্রাম্প তাঁর প্রথম মেয়াদে চালু করা “মেক্সিকোতে অবস্থান” নীতি পুনরায় চালু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এই নীতি অনুযায়ী, যেসব অভিবাসী যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করে আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেছেন, তাদেরকে তাদের মামলার শুনানি পর্যন্ত মেক্সিকোতে ফেরত যেতে বাধ্য করা হবে। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে এই নীতি অনুসরণ করে ৬৫ হাজারেরও বেশি অভিবাসীকে উত্তর মেক্সিকোতে আশ্রয় খুঁজতে বাধ্য করা হয়েছিল।
(৭) সীমান্ত টহল সদস্য নিয়োগ বৃদ্ধি
ট্রাম্প সীমান্তে আরো দশ হাজার টহল সদস্য নিয়োগের পরিকল্পনা করেছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, সীমান্ত নিরাপত্তার জন্য টহল সদস্য বৃদ্ধি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে, তবে এটি বেশ কঠিন হয়ে উঠতে পারে। যদিও, ট্রাম্প তাদের বেতন ও বোনাস বৃদ্ধি এবং অবসরভাতার সুবিধা নিশ্চিত করার ঘোষণা দিয়েছেন।
(৯) জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিল
যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণকারী শিশুদের নাগরিকত্বের যে দীর্ঘস্থায়ী সাংবিধানিক নীতিটি রয়েছে ট্রাম্প তার অফিসের প্রথমদিনেই সেটিকে বাতিল করে একটি নির্বাহী আদেশ জারি করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ট্রাম্প বলেছেন তিনি ফেডারেল এজেন্সি গুলোকে নির্দেশনা দিবেন যে যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণকারী কোন শিশুকে নাগরিকত্ব বা সোশাল সিকিউরিটি নাম্বার দিতে হলে শিশুটির পিতা- মাতার কমপক্ষে একজনকে আইন সঙ্গত স্থানীয় বাসিন্দা বা নাগরিক হতে হবে। ১৮৬৮ সালে হওয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১৪তম সংশোধনীর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া সকল শিশুকে নাগরিকত্বের অধিকার দেওয়া হয়। এই সংশোধনিটি মূলত ১৮৫৭ সালে সুপ্রিম কোর্টে ড্রেড স্কটের দেওয়া সিদ্ধান্ত যে আফ্রিকান আমেরিকানরা নাগরিক নন, এর সুরাহা করার জন্য করা হয়। এখন ট্রাম্প যদি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিল করতে চান তবে তা অবশ্যই আদালতে চ্যালেঞ্জের স্বীকার হবে এবং তা সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়াবে।
(১০) মুসলিম দেশগুলোর নাগরিকদের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা :
ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে দেওয়া মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলো থেকে আগতদের উপর ভ্রমন নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তাঁর নির্বাচনি প্রচারণা ২০২৩ সালের অক্টোবরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে লেখে যে “তিনি সন্ত্রাস প্রভাবিত দেশগুলোর উপর ভ্রমন নিষেধাজ্ঞা পুনরায় আরোপ করবেন এবং সকল অভিবাসিদের জন্য শক্তিশালী আদর্শিক স্ক্রিনিং এর ব্যবস্থা কার্যকর করবেন।” এ পোস্টে ট্রাম্পের প্রচারণা আরও বলেছে যে যুক্তরাষ্ট্রে চলমান বিক্ষোভগুলোতে অংশ নেওয়া “জিহাদপন্থী” প্রতিবাদকারীদের অপসারণ ও “অ্যান্টি আমেরিকান ও অ্যান্টি সেমেটিক বিদেশি” শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিল করে তাদের ফেরত পাঠাবেন। তেমনটি হলে বাংলাদেশ, পাকিস্তানসহ বিশ্বের অন্যতম মুসলিম দেশগুলোর নাগরিকদের আমেরিকার ভ্রমণ কঠিন হয়ে পড়বে।
অভিবাসী অধিকার সংগঠনগুলির প্রতিক্রিয়া :
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী অধিকার সংস্থাগুলি একবাক্যে জানিয়েছে, তারা ডোনাল্ড ট্রাম্পের যেকোনো নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করবে, যা অভিবাসীদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যেই হবে।
এসিএলইউ (ACLU) এর বর্ডার এবং অভিবাসন নীতির পরিচালক মারিবেল হের্নান্দেজ রিভেরা এরিমধ্যে বলেছেন, “আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি – আমাদের কাছে উল্লেখিত প্রস্তাবগুলোকে “অমানবিক” বলে অভিহিত করেছেন এবং বলেছেন, আমরা এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে আছি।
নিউ ইয়র্ক ইমিগ্রেশন কোঅ্যালিশনের সভাপতি মুরাদ আওয়াদেহ এনপিআরকে বলেছেন, “আমরা ইতিমধ্যেই একবার ট্রাম্প প্রশাসন থেকে বেঁচে এসেছি এবং বিশ্বাস করি আমরা আবারও তার বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই সফল হবে।” তিনি জানান, তাদের সংগঠন তিনটি মূল কৌশল নিয়ে কাজ করছে: প্রতিবাদ, স্থানীয় আইন প্রণয়ন এবং মামলা। অধিকার সংস্থাগুলি ‘আপনার অধিকার জানুন’ এমন ধরনের প্রশিক্ষণও বাড়াচ্ছে, যাতে অভিবাসীরা তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হতে পারে এবং প্রয়োজনে আইনি সহায়তা পেতে পারে।
ডেমোক্র্যাটদের প্রতিক্রিয়া
এদিকে, কিছু অভিবাসী অধিকার সংগঠন ডেমোক্র্যাটদের অভিবাসন নীতি ও কৌশলের প্রতি হতাশা প্রকাশ করেছে। CASA, একটি জাতীয় অলাভজনক সংস্থা, যা পেনসিলভানিয়া সহ কিছু সুইং রাজ্যে ডেমোক্র্যাটদের পক্ষ থেকে ভোট চেয়েছিল, তাদের সদস্যরা এখন ডেমোক্র্যাটদের অভিবাসন কৌশল এবং নীতির প্রতি বিরক্তি প্রকাশ করছে। তারা অভিযোগ করেছেন যে, হ্যারিস ক্যাম্পেইন স্পষ্ট অভিবাসন নীতি বা সীমান্ত নীতির বিষয়ে কোনো পরিষ্কার দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। যেমন, নাগরিকত্বের জন্য পথ খোলার মতো বিষয়গুলো। যখন এই প্রসঙ্গ নির্বাচনী প্রচারণায় উঠে আসে, তখন হ্যারিস ট্রাম্পকে সীমান্ত বিল বাধাগ্রস্ত করার জন্য সমালোচনা করতেন।
তোরেস বলেন, “অভিবাসন সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দেয়ার পরও ২৫-৩০ বছর ধরে তা বাস্তবায়ন হয়নি।” তিনি আরও জানান, “ডেমোক্র্যাটরা তাদের সংস্কারের প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করতে ব্যর্থ হয়েছে যখন তারা সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রথম মেয়াদে হাউস ও সিনেট নিয়ন্ত্রণ করছিল।”
তোরেস দাবি করেন, তার অনেক সদস্য মনে করেন ডেমোক্র্যাটরা তাদেরকে মুখোশ হিসেবে ব্যবহার করেছে।
আগামী ২০ জানুয়ারি আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন ট্রাম্প। তার আগেই তিনি তার নতুন প্রশাসনের উচ্চ পদগুলোতে অভিবাসন কট্টরপন্থি হিসেবে পরিচিত কয়েকজনকে মনোনীত করেছেন। যার মধ্যে টম হোম্যান ট্রাম্পের পরবর্তী ‘সীমান্ত জার’, দক্ষিণ ডাকোটার গভর্নর ক্রিস্টি নয়েম পরবর্তী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং দীর্ঘদিনের মিত্র স্টিফেন মিলার হোয়াইট হাউসের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ হতে যাচ্ছেন। মিলার এবং হোম্যান উভয়েই অভিবাসন নীতিতে অভিজ্ঞ। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের প্রশাসনে তারা কাজ করেছেন। তারা ট্রাম্পের ‘পারিবারিক বিচ্ছেদ’ নীতিতে সহায়তা করেছিলেন, যা অভিবাসী শিশুদের তাদের পিতামাতার কাছ থেকে আলাদা করে দিয়েছিল।
সেই নীতির অধীনে পিতামাতার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হাজার হাজার শিশু এখনো পুনর্মিলিত হতে পারেনি। যা যুক্তরাষ্ট্রের মতো সাবলীল মানবাধিকারের দেশে কখনোই কাম্য নয়।