এশিয়ান পোস্ট ডেস্কঃ
তরুণরা শক্তি জানান দিল রাজধানীর নয়াপল্টনে তারুণ্যের সমাবেশে। বুধবার বিএনপির তিন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে এ সমাবেশে কয়েক লাখ তরুণ-তরুণী অংশ নিয়ে ইতিহাস রচনা করেন। এত বড় সমাবেশ এর আগে আর কখনো হয়নি জানিয়ে তাদের কণ্ঠে শোনা গেল ‘তারুণ্য জেগে থাকলে জেগে থাকবে বাংলাদেশ।’ স্বৈরাচারের সাড়ে ১৫ বছরের অন্যায়-অত্যাচারের বর্ণনার পাশাপাশি তারা জানান দীর্ঘ বছর ভোট না দেওয়ার আক্ষেপের কথা।
দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার বার্তা দেন। এজন্য অবিলম্বে জাতীয় নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন হতে হবে। ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন যাতে হয়, এজন্য নেতাকর্মী, সমর্থক ও দেশবাসীকে সেই প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সংস্কার ও বিচার নিয়ে সময়ক্ষেপণের আড়ালে সরকারের ভেতর-বাইরে থাকা কিছু মানুষের ভিন্ন উদ্দেশ্য রয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোকে সরকারের প্রতিপক্ষ না বানানোর আহ্বানও জানান। বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ইশরাক হোসেনকে শপথ গ্রহণে বাধা সৃষ্টি করে আবারও স্বৈরাচারী মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ দেখছে জনগণ। সমাবেশে দিল্লি নয় পিণ্ডি নয়, নয় অন্য কোন দেশ; সবার আগে বাংলাদেশ বলেও স্লোগান দেন তারেক রহমান।
বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, অতীতে বিভিন্ন সময় এই বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান করেছে। এবং প্রত্যেকটি সময় আমরা দেখেছি, তত্ত্বাবধায়ক সরকার তিন মাসের মধ্যে সফলভাবে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্পন্ন করেছে। সুতরাং অতীতে এই বাংলাদেশে রেকর্ড রয়েছে তিন মাসের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান করা সম্ভব। কিন্তু আজ আমরা দেখছি, দশ মাস শেষ হতে চলেছে, কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করছে না। আমরা ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে জনগণের সরাসরি ভোটে, জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক ও তাদের প্রতি দায়বদ্ধ একটি সরকার দ্রুত দেখতে চাই। দশ মাস শেষ হতে চলেছে, কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করছে না। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান-আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন হতে হবে। আবারও বলতে চাই ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
দেশের জনগণ, নেতাকর্মী ও সমর্থকদের প্রতি নির্দেশনা দিয়ে তিনি বলেন, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই আপনারা জাতীয় নির্বাচন যাতে নিশ্চিত হয়, তার প্রস্তুতি নিতে শুরু করুন। কারা রাষ্ট্র পরিচালনা করবে, কারা আপনাদের প্রতিনিধি হবে, জাতীয় নির্বাচনের আপনারাই ভোট দিয়ে প্রতিনিধি নির্বাচিত করবেন।
জাতীয় নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা চলছে উল্লেখ করে সংস্কার ও বিচার নিয়ে সময়ক্ষেপণের অভিযোগ করেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি জনগণের রায়ে রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেলে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে পর্যায়ক্রমে দলের গৃহীত পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করবে। তবে যে কোনো দলের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে হলে দরকার একটি জবাবদিহিমূলক সরকার। দরকার একটি নির্বাচিত সরকার। তবে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে মনে হয় এরই মধ্যে টালবাহানা শুরু হয়েছে বা চলছে। কথিত অল্প সংস্কার আর বড় সংস্কারের অভিনব শর্তের আবর্তে ঘুরপাক খাচ্ছে আগামী সংসদ নির্বাচনের ভবিষ্যৎ। এরই মধ্যে জনগণ বিশ্বাস করতে শুরু করেছে সংস্কার ও বিচার নিয়ে সময়ক্ষেপণের আড়ালে অন্তর্বর্তী সরকারের ভেতরে ও বাইরে কারও কারও মনে হয় কিছু ভিন্ন উদ্দেশ্য রয়েছে।
রাজনৈতিক দলগুলোকে সরকারের প্রতিপক্ষ না বানানোর আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, নিরপেক্ষতা ও বিশ্বাসযোগ্যতাই কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান পুঁজি। তাই তাদের প্রতি আমাদের পরামর্শ থাকবে জনগণের বিশ্বাস ও ভালোবাসা নষ্ট হয়-এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া ঠিক হবে না অন্তর্বর্তী সরকারের। একই সঙ্গে সরকারের প্রতি আবারও আহ্বান জানিয়ে বলতে চাই, গণতন্ত্রকামী জনগণ ও গণতন্ত্রের পক্ষের রাজনৈতিক দলগুলোকে দয়া করে প্রতিপক্ষ বানাবেন না। যদি আপনাদের কেউ রাষ্ট্র পরিচালনায় থাকতে চায়, তাহলে সরকার থেকে পদত্যাগ করে জনগণের কাতারে আসুন। নির্বাচন করুন। যদি ভবিষ্যতে নির্বাচনে জনগণের রায় পান, তাহলে আবার সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করুন।
তিনি বলেন, গত দেড় দশকে ভোটার তালিকায় প্রায় সাড়ে তিন কোটি নতুন ভোটার সংযুক্ত হয়েছে। এই নতুন ভোটাররা আজ পর্যন্ত একটি জাতীয় নির্বাচনেও ভোট দিয়ে তাদের নিজের পছন্দের প্রার্থীকে জনপ্রতিনিধি করার সুযোগ পায়নি। পতিত পরাজিত পলাতক স্বৈরাচারের কাছে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা কিংবা নির্বাচন কোনো গুরুত্বপূর্ণ কিছু ছিল না। সুতরাং সংস্কার ইস্যুর পাশাপাশি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দৃশ্যমান প্রস্তুতি নেওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি।
ইশরাকের শপথে বাধা সৃষ্টি স্বৈরাচারী মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, পলাতক স্বৈরাচারের সময় আমরা দেখেছি তারা কীভাবে আদালতকে অবজ্ঞা করেছে, আদালতের রায়কে অবজ্ঞা করেছে। অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হয় পলাতক স্বৈরাচারের পরে যে সরকারের কাছে দেশের মানুষ আশা করেছিল যে, আইনের প্রতি সম্মান থাকবে; আমরা দেখেছি আদালতের রায়ের প্রতি সম্মান না দেখিয়ে যারা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণের মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণে বাধা সৃষ্টি করেছে, স্বৈরাচারের সেই একই যে ঘটনা সেটির পুনরাবৃত্তি প্রক্রিয়া দেখতে পাচ্ছি।
জনগণের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনাদের কাছে আমার জ্ঞিজ্ঞাসা-যারা আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখায় না, যারা আদালতের নির্দেশকে অবজ্ঞা করে তাদের কাছ থেকে আমরা কতটুকু সংস্কার আশা করতে পারি। পুঁজিগত সংস্কারের চেয়ে ব্যক্তি মানসিকতার সংস্কার অনেক বেশি জরুরি। নর্থ-কোরিয়ার সংবিধানে লেখা রয়েছে, ডেমোক্রেটিক পিপলস রিপাবলিক অব নর্থ কোরিয়া। সুতরাং কি লেখা রয়েছে তার চেয়েও বেশি যেটা জরুরি, তা হলো মেনে চলা। ইশরাকের শপথ গ্রহণে বাধা সৃষ্টি করে আজ আমরা আবারও স্বৈরাচারী মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ দেখতে পাচ্ছি।
নেতাকর্মীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনারা জনগণের কাছে যান। তাদের প্রত্যাশা জানার চেষ্টা করুন। তাদের প্রত্যাশা বোঝার চেষ্টা করুন। জনগণের মন জয় করুন। কারণ জনগণই বিএনপির সব রাজনৈতিক শক্তির উৎস।
ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসাবে বুধবার সর্বশেষ ঢাকায় তারুণ্যের সমাবেশ করল বিএনপির তিন সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল। ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ’ শিরোনামে এ কর্মসূচিতে ঢাকা, সিলেট, ফরিদপুর ও ময়মনসিংহের সাংগঠনিক বিভাগ থেকে অংশ নেন লাখো তরুণ-তরুণী। সকাল ১১টার পর থেকেই নেতাকর্মীদের ঢল নামে নয়াপল্টনে। মূল অনুষ্ঠান বেলা ৩টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও জনসমুদ্রে রূপ নেয় পুরো এলাকা। মৎস্যভবন থেকে নয়াপল্টন কিংবা পল্টন ছাড়িয়ে আরামবাগ, অন্যদিকে শান্তিনগর মোড় ও পুরানা পল্টন ছাড়িয়ে তিলধারণের জায়গা ছিল না। গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রায় তারুণ্যের এই সমাবেশে সবার মুখে মুখে ছিল দ্রুত নির্বাচন। দলটির নেতাদের মুখেও ছিল একই সুর। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সমাপনী বক্তব্য দেন। তার বক্তব্য শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে লাখ লাখ তরুণ-তরুণীর করতালি আর স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। বক্তব্যের শেষদিকে তারেক রহমান নিজেই স্লোগান দেন ‘দিল্লি নয়, পিণ্ডি নয়, নয় অন্য কোনো দেশ; সবার আগে বাংলাদেশ।’ এ সময় তার সঙ্গে সুর মিলিয়ে তরুণ-তরুণীরাও একই স্লোগান দেন।
দায়িত্বশীল গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হিসাবে তরুণ প্রজন্মের সামনে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে বিএনপির নেওয়া বিস্তারিত পরিকল্পনার কয়েকটি অগ্রাধিকার কর্মসূচি সংক্ষেপে তুলে ধরেন তারেক রহমান। আগামীতে ক্ষমতায় গেলে জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তরে কর্মমুখী শিক্ষাব্যবস্থা, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের বিকাশ, গ্রামীণ উন্নয়নে তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার, ব্যাপক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার কাজ করার কথা তুলে ধরেন তারেক রহমান। দরিদ্র পরিবারের জন্য ফ্যামিলি কার্ড, প্রান্তিক কৃষক, ভূমিহীন কৃষকদের জন্য ফার্মার্স কার্ড চালু, বেকারত্ব দূরীকরণে বিভিন্ন সেক্টরভিত্তিক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির খাতগুলো চিহ্নিত করা, স্কুল-কলেজে তথ্যপ্রযুক্তি ও কারিগরি শিক্ষা প্রবর্তন, ক্রীড়াকে শিক্ষা কারিকুলামে অন্তর্ভুক্ত করা, বিদেশি ভাষা শিক্ষা চালু করা, সরকারি ব্যবস্থাপনায় মেডিকেল টেকনিশিয়ান গড়ে তুলতে কোর্স চালু করা, বিশ্বখ্যাত ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের চাহিদা অনুযায়ী কর্মী গড়ে তোলা, ফ্রিল্যান্সিং আউটসোর্সিং থেকে আয় বাড়ানো, স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে গ্রামীণ হেলথকেয়ার ওয়ার্কার গড়ে তোলা, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি দেশব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়াসহ বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হলে বর্তমানে যে ষড়যন্ত্র চলছে, সেই ষড়যন্ত্র জনগণই মোকাবিলা করতে পারবে। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হলে জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনমুখী হয়ে যাবে। তিনি বলেন, নির্বাচনকে বিলম্বিত করার জন্য পতিত স্বৈরাচার দেশে-বিদেশে নানা ষড়যন্ত্র করছে। তা না হলে সংস্কার এবং মামলা-এ দুটি বিষয়কে নির্বাচনের সঙ্গে তুলনা করার কোনো অর্থ হয় না। এই তিনটি আলাদা বিষয়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, এই সরকারের (অন্তর্বর্তী সরকার) মাথা থেকে নিচ পর্যন্ত পচন ধরেছে। এরা আওয়ামী লীগের চেয়ে বেশি ক্ষতি করছে। সরকার গণমানুষের আকাঙ্ক্ষা ও আস্থার সরকার ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, কিন্তু নয় মাসের কার্যক্রমে এই সরকার থেকে কিছুই পাইনি। শুধু পেয়েছি অবজ্ঞা।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, বাংলাদেশকে গণতন্ত্রে রূপ দেওয়ার জন্য অবিলম্বে দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ দিতে হবে।
স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, জাতীয় নির্বাচন নিয়ে হেলাফেলা করা চলবে না। সমাবেশে তরুণদের সুনামি হয়েছে, তারা গণতন্ত্র ও নির্বাচনের বার্তা দিয়েছেন। সংস্কারের কথা বলে নির্বাচনের রোডম্যাপ পেছানোর কোনো সুযোগ নেই। বিচারের কথা বলে নির্বাচনের রোডম্যাপ পেছানোর কোনো সুযোগ নেই। সংস্কারের গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে ঐকমত্য না হয়ে থাকলে সেটা করবে জনগণ। ভোট ও ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার সেই সংস্কার করবে। বিচারকাজ বাকি থাকলে সেটাও করবে নির্বাচিত সরকার।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা ডিসেম্বরে নির্বাচনের জন্য রোডম্যাপ চেয়েছিলাম। আমরা কারও পদত্যাগ চাইনি। পদত্যাগের নাটক দেখেছে বাংলাদেশের মানুষ। গণতান্ত্রিক অধিকারের জন্য কথা বলা যদি অপরাধ হয়, সেই অপরাধ আমরা বারবার করতে পারব।
যুবদলের সভাপতি মোনায়েম মুন্নার সভাপতিত্বে এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছিরের যৌথ সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন-বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব প্রমুখ।
এশিয়ান পোস্ট/আরজে