অনলাইন ডেস্কঃ
সোনার বাজারে দেশীয় ক্রেতারা প্রায়ই অবাক হন কেন বাংলাদেশে সোনার দাম ভারত বা দুবাইয়ের চেয়ে অনেক বেশি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের সোনার দাম নির্ধারণ করা হয় আন্তর্জাতিক বাজার, কর-নিষেধ, আমদানি শুল্ক, ডলার রেট এবং স্থানীয় চাহিদার ভিত্তিতে।
প্রথমত, আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার মূল্য প্রতি দিন ওঠানামা করে। বাংলাদেশে সোনার দাম আন্তর্জাতিক মূল্যের সঙ্গে যুক্ত থাকে। কিন্তু স্থানীয় ভ্যাট, শুল্ক ও অন্যান্য করের কারণে মূল্য আরও বৃদ্ধি পায়। উদাহরণস্বরূপ, আমদানি শুল্ক এবং মূল্য সংযোজন কর দেশীয় ক্রেতাদের জন্য অতিরিক্ত খরচ তৈরি করে।
দ্বিতীয়ত, ডলার বিনিময় হারও বাংলাদেশের সোনার দামের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। দেশীয় বাজারে সোনার দাম আন্তর্জাতিক বাজারের মূল্যের সঙ্গে স্থানান্তরিত হওয়ার সময়, ডলারের মানের ওঠানামা এবং ব্যাংকিং খরচ মূল্যকে প্রভাবিত করে।
তৃতীয়ত, স্থানীয় চাহিদা ও সরবরাহও মূল্যের ওপর প্রভাব রাখে। উৎসব বা বিবাহের মৌসুমে স্বর্ণের চাহিদা বেড়ে গেলে দাম স্বাভাবিকভাবেই বৃদ্ধি পায়। এছাড়া বাজারে স্বর্ণের অভাব থাকলে দাম আরও বেড়ে যায়।
চলতি বছরে, আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম কিছুটা স্থিতিশীল থাকলেও বাংলাদেশে দাম তুলনামূলকভাবে বেশি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর পেছনে স্থানীয় শুল্ক, কর, ব্যবসায়িক লভ্যাংশ এবং পরিচালন খরচ অন্যতম প্রধান কারণ।
এছাড়া, ভারত ও দুবাইয়ে সোনার বাজারের বড় অংশ সরকার নিয়ন্ত্রিত এবং আমদানি শুল্ক কম হওয়ায় দাম তুলনামূলকভাবে কম থাকে। বাংলাদেশে ছোট ও বড় ব্যবসায়ীর সংমিশ্রণ, কর এবং ব্যাংকিং খরচের কারণে দাম বেশি হয়।
বিশেষজ্ঞরা ক্রেতাদের পরামর্শ দিচ্ছেন, সোনার বাজারে বিনিয়োগ করার আগে আন্তর্জাতিক বাজারের হালনাগাদ মূল্য দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। এছাড়া, সরকারি শুল্ক এবং বাজারে চাহিদা বিবেচনা করাও গুরুত্বপূর্ণ।
সোনার দামকে প্রভাবিত করা একাধিক বিষয়কে একত্রিত করে। আন্তর্জাতিক বাজার, ডলার বিনিময় হার, স্থানীয় শুল্ক, কর এবং সরবরাহ-চাহিদার ওপর মূল্য নির্ভর করে। তাই দেশের ক্রেতারা প্রায়ই বিদেশের তুলনায় বেশি দামে সোনা কিনেন।
এশিয়ানপোস্ট / এফআরজে