অনলাইন রিপোর্টারঃ
চিফ প্রসিকিউটর এক গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানিতে বলেছেন, এক ব্যক্তি দেশে গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সেনাবাহিনী বিরোধী অবস্থানে নিয়ে যেতে চেষ্টা করেছেন। প্রসিকিউটরের বক্তব্য অনুযায়ী, এ ধরনের পরিকল্পনা দেশের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি।
প্রসিকিউটর আদালতে জানিয়েছেন, “রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ নেত্রীকে উদ্দেশ্য করে সেনাবাহিনীকে উসকে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। এটি এক ধরনের ষড়যন্ত্র, যা গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। এমন পরিকল্পনা কোনোভাবেই ক্ষমা করা যায় না।”
আদালতে তিনি আরও বলেন, এই ধরনের কার্যকলাপ শুধু রাজনৈতিক নয়, বরং আইনগত ও সন্ত্রাসবিরোধী পর্যায়ে দেশের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলে। তিনি অভিযোগ করেছেন, পরিকল্পনাকারীরা বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে সমাজে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করেছেন।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, চিফ প্রসিকিউটরের বক্তব্যে দেশের সংবেদনশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এটি প্রমাণ করছে যে, দেশের শান্তি রক্ষায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর দায়িত্ব কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
আদালতে আরও জানানো হয়েছে, তদন্তের সময় পাওয়া প্রমাণ এবং সাক্ষীদের বক্তব্য অনুযায়ী, পরিকল্পনাকারীরা গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা সৃষ্টি করার জন্য সামাজিক ও রাজনৈতিক দিক উভয়কে লক্ষ্য করেছে। চিফ প্রসিকিউটরের ভাষ্য অনুযায়ী, এটি কোনোভাবেই নিন্দাহীন নয়, এবং কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখযোগ্য, এই মামলার গুরুত্ব দেশের আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচারিক প্রক্রিয়া চলাকালীন আদালত প্রমাণাদি যাচাই ও সাক্ষীদের মাধ্যমে নির্ধারণ করবে যে, আসামীরা কতটা দায়ী।
এশিয়ানপোস্ট / এফআরজে