অনলাইন রিপোর্টারঃ
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে তফসিল ঘোষণার পর দাবি-দাওয়া নিয়ে রাস্তায় বিক্ষোভ বা আন্দোলন করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গত ১৬ মাসে দেশে প্রায় ২ হাজার আন্দোলন হয়েছে, যেগুলো সবই শান্তিপূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। সরকার যথেষ্ট ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। তবে তফসিল ঘোষণার পর যদি কেউ দাবি-দাওয়া নিয়ে রাস্তায় নামে, তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রেস সচিব আরও জানান, আসন্ন নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হবে এবং সরকারের কোনো নতুন আইন প্রণয়ন করার পরিকল্পনা নেই। উপদেষ্টা পরিষদের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে তিনি জানান।
এই সংবাদ সম্মেলনে তিনি সরকারের সাম্প্রতিক কিছু সিদ্ধান্তও তুলে ধরেন। রমজানকে সামনে রেখে খেজুরের ওপর ১৫ শতাংশ ট্যাক্স কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া মেট্রোরেলের ওপর আরোপিত ট্যাক্স প্রত্যাহার করা হয়েছে।
ক্যাবিনেট সভায় বাণিজ্যিক আদালত অধ্যাদেশ, আইনগত সহায়তা প্রদান দ্বিতীয় সংশোধনী অধ্যাদেশসহ মোট তিনটি আইন অনুমোদিত হয়েছে। অনলাইন ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ভিত্তিক জালিয়াতি রোধে নতুন আইন করার পরিকল্পনাও রয়েছে।
তিনি বলেন, মাইলস্টোন ট্র্যাজেডিতে নিহত ৩৬ জনকে ২০ লাখ টাকা এবং আহতদের ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন দেশের ভিসা জালিয়াতি রোধে আলাদা আইন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শফিকুল আলম বলেন, বাংলাদেশের এআই প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জালিয়াতি বেড়েছে। এটি এক ধরনের “জালিয়াতির সমুদ্র” রূপ ধারণ করেছে। জালিয়াতি চক্র দেশটির সুনাম ক্ষুণ্ন করছে এবং অনেক মানুষকে প্রতারিত করছে। ভিসা জালিয়াতির কারণে বাংলাদেশের নাগরিকরা বিভিন্ন দেশে হয়রানির শিকার হচ্ছেন এবং তাদের ভিসা প্রসেসে সমস্যা হচ্ছে।
প্রেস সচিব জানান, প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস এ বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন যাতে একটি নতুন আইন দ্রুত প্রণয়ন করা হয়। এই আইনে অনলাইনে ও এআই সফটওয়্যার ব্যবহার করে জালিয়াতি করাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।
শফিকুল আলম বলেন, “অতি দ্রুত এই আইন করা হবে যাতে জালিয়াতিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় এবং দেশের সুনাম রক্ষা করা যায়।”