‘
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভারতীয় সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকদের উপর ভারতীয়দের হামলা, গাছ কর্তন ও আগ্রাসনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ। আজ রবিবার বিকাল ৪ টায় আল রাজী কমপ্লেক্সের সামনে এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাশেদ খাঁন বলেন, চাপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফ ও উগ্র ভারতীয়রা বাংলাদেশের জনগণের উপর যে হামলা করেছে, তার জবাব ভারতের কাছে চাইতে হবে। সেখানে তো কেউ মারাও যেতে পারতো। ইতোপূর্বে বাংলাদেশের নাগরিককে হত্যা করে সীমান্তের কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রেখেছে বিএসএফ। হাসিনার পতন ঘটিয়ে ভারতের এই উগ্রতার জবাব দিয়েছে বাংলাদেশের জনগণ। বাংলাদেশে আর কোন ভারতের সরকার মানা হবেনা। ২য় বারের মত বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। এই স্বাধীনতা আমাদের ধরে রাখতে হলে ভারতের চোখে চোখ রেখে কথা বলতে হবে। সরকারকে বলবো, ২৪ ঘন্টার মধ্যে ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব করুন। এমনভাবে জবাব দিন, যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা আর না ঘটে। গতকাল চাপাইনবাবগঞ্জের সীমান্ত এলাকার মানুষ সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে। বিজিবিও সিংহের হুংকার দিয়েছে। কথা স্পষ্ট, সীমান্তে একটা লাশ পড়লে, ২ টা লাশ ফেলতে হবে। ভারতকে আর দাদাগিরি করতে দেওয়া হবেনা। এরপর থেকে সীমান্তে কোন হত্যা হলে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করতে হবে। ভারত বড় তো কি হয়েছে? আমরা কি তাদের কাছে নত হবো? প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে অন্যান্য দেশের সাথে যে সম্পর্ক থাকে, ভারতের সাথে একই সম্পর্ক থাকবে। আওয়ামীলীগ ভারতের সাথে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক তৈরি করেছিলো। তোমাদের স্ত্রী এখন তোমাদের দেশে চলে গেছে, আ.লীগের নেতারা চলে গেছে, তাদের সাথে বোঝাপড়া করো। আমাদের সাথে সম্পর্ক রাখতে হলে জনগণের পালস বুঝতে হবে। আমেরিকাকেও বলবো, ভারতের চোখ দিয়ে আর কোন কূটনীতিক সম্পর্ক নয়, এখন থেকে সরাসরি চোখ দিয়ে বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক রাখুন। ভারত মিডলম্যান হিসেবে থাকলে, সেই সম্পর্ক জনগণ আর মানবেনা।