আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
ইউরোপের দেশ অস্ট্রিয়া বৃহস্পতিবার সংসদে একটি আইন পাস করেছে, যা ১৪ বছরের কম বয়সী মেয়েদের জন্য বিদ্যালয়ে হিজাব পরা নিষিদ্ধ করে। এই আইন অনুযায়ী, দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই বয়সের মেয়ে শিক্ষার্থীরা ইসলামী ঐতিহ্য অনুযায়ী মাথা ঢেকে রাখার উদ্দেশ্যে হিজাব পরতে পারবে না।
ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, অস্ট্রিয়ার সংসদ এই বিধিনিষেধ অনুমোদন করার পর মানবাধিকার সংস্থা ও বিশেষজ্ঞরা তা বৈষম্যমূলক এবং সমাজে বিভাজন আরও গভীর করার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
অস্ট্রিয়ার সরকার এই পদক্ষেপের পেছনে যুক্তি হিসেবে দাবি করেছে, তারা মেয়েদের নিপীড়ন থেকে রক্ষা করতে চায়। তবে দেশটির বিরোধী রাজনৈতিক দল গ্রিন পার্টি এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে ভোট দিয়ে এটিকে সংবিধানবিরোধী ঘোষণা করেছে।
২০১৯ সালে অস্ট্রিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে হিজাব নিষিদ্ধ করেছিল, কিন্তু তখনকার সাংবিধানিক আদালত সেই আইনকে অসাংবিধানিক ও বৈষম্যমূলক ঘোষণা করে বাতিল করে দেয়। এবার নতুন আইনটি সরকারের দাবি, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতামূলক।
নতুন আইন অনুযায়ী, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে স্কুল শিক্ষক, অভিভাবক ও শিশুদের কাছে এই বিধি-নিষেধের ব্যাখ্যা দেওয়া হবে। প্রথমে আইন লঙ্ঘনের জন্য কাউকে জরিমানা করা হবে না, কিন্তু পুনরায় আইন ভঙ্গ হলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীর অভিভাবককে ১৫০ থেকে ৮০০ ইউরো পর্যন্ত জরিমানা করা হবে।
অস্ট্রিয়ার সরকারের হিসাব মতে, এই আইন দেশের প্রায় ১২ হাজার মেয়ে শিক্ষার্থীকে প্রভাবিত করবে। ২০১৯ সালের একটি গবেষণায় বলা হয়েছিল, ছয় বছর আগে প্রায় ৩ হাজার ১৪ বছরের কম বয়সী মেয়ে হিজাব পরত।