অনলাইন রিপোর্টারঃ
নির্বাচনের আগের রাতেই সব ভোট কেন্দ্রে ব্যালট পেপারসহ নির্বাচন সামগ্রী পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে ১০তম কমিশন সভার পরে তিনি এসব কথা বলেন।
আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, “আজকের সভায় নির্বাচন সামগ্রীর ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আগের মতোই নির্বাচন সামগ্রী এবং ব্যালট পেপার নির্বাচনের আগের রাতেই সব কেন্দ্রে পৌঁছে যাবে। এবারে আমাদের দুটি নির্বাচন একসঙ্গে আয়োজন করতে হচ্ছে — জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং গণভোট; তাই সময় ব্যবস্থাপনা আরও জটিল।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা মক ভোটিং করে এবং মাঠ পর্যায়ের অভিজ্ঞতাগুলো বিবেচনা করে কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যেমন, যে সব কক্ষে ভোটারদের বসার জায়গা কম, সেখানে একাধিক সিক্রেট বুথ স্থাপন করা হবে। যেখানে জায়গা সংকুলান, সেখানে আলাদা বুথ করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
নির্বাচন সময় এক ঘণ্টা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। ভোট শুরু হবে সকাল সাড়ে সাতটায় এবং চলবে বিকাল সাড়ে চারটা পর্যন্ত।
সানাউল্লাহ বলেন, “গণভোট সংক্রান্ত প্রচার ও তথ্য সরবরাহে সরকার ব্যাপক উদ্যোগ নিচ্ছে এবং নির্বাচন কমিশন তাদের সহযোগিতা করবে। ভোটার যাতে ভোট কেন্দ্রে প্রবেশের আগেই ভোটের প্রশ্ন জানতে পারেন, তার জন্য প্রতিটি কেন্দ্রে বড় আকারে ব্যালট পেপারের কপি ঝুলানো থাকবে।”
তিনি বলেন, “বয়স, শারীরিক অক্ষমতা বা গর্ভাবস্থাসহ বিশেষ সহায়তা প্রয়োজন এমন ভোটারদের জন্য নির্দিষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হবে যাতে তারা সহজে ভোট দিতে পারেন।”
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আগে হুদা কমিশনের সময় রাতেই ভোট হওয়ার ঘটনা ঘটত, কিন্তু আমরা এবার সেরকম পরিস্থিতি চাই না। আমরা বিশ্বাসী যে সব ব্যবস্থা ঠিকভাবে গ্রহণ করলে নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও নির্ভুল হবে। যথাযথ তদারকি ও নজরদারি রাখা হবে যাতে কোনো ধরনের ব্যত্যয় না ঘটে।”