আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু পশ্চিম তীর অঞ্চলের ফিলিস্তিনিদের নির্যাতন ও নিপীড়নকারী ইসরায়েলি নাগরিকদের আইনের আওতায় আনার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে শিগগিরই মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক ডাকা হবে।
গত সোমবার এক বিবৃতিতে নেতানিয়াহু বলেন, “আমি গভীরভাবে লক্ষ্য করছি যে পশ্চিম তীরে একটি ছোট, চরমপন্থি গ্রুপ দীর্ঘদিন ধরে সহিংসতা, বিশৃঙ্খলা ছড়ানো এবং আইন নিজেদের হাতে নেওয়ার চেষ্টা করছে। এটা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।”
তিনি বলেন, “পশ্চিম তীরের দাঙ্গাকারীদের গ্রেপ্তার এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনের যথাযথ প্রয়োগের নির্দেশ আমি ইতোমধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়েছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে বিষয়টি দেখব এবং মন্ত্রিসভার সদস্যরা আমাকে সহযোগিতা করবেন।”
পশ্চিম তীরে সহিংসতা বন্ধে আলাদা রসদ বরাদ্দ ও অর্থায়নের বিষয়েও ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ জানিয়েছে যে সরকার প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
ওই অঞ্চলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থান বেথলেহেম, যিশুখ্রিস্টের জন্মস্থান, বর্তমানে ফিলিস্তিনের অন্তর্ভুক্ত। সম্প্রতি বেথলেহেমের নিকটবর্তী গ্রাম জাবায় ইসরায়েলি দাঙ্গাকারীরা বেশ কয়েকটি বাড়ি ও যানবাহনে আগুন দিয়েছেন। এর আগে পশ্চিম তীরের সা’র গ্রামেও একই ধরনের হামলা ঘটে।
এই সহিংসতার পর ফিলিস্তিনের মন্ত্রিসভা জরুরি বৈঠকে বসে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করে একটি বিবৃতি দেয়। সেখানে বলা হয়, ইসরায়েলি দাঙ্গাকারীরা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে এবং তাদেরকে ইসরায়েল সরকার পূর্ণ সমর্থন ও সুরক্ষা দিচ্ছে।
ফিলিস্তিনের মন্ত্রিসভার ওই বিবৃতি প্রকাশের কিছুক্ষণ পরেই নেতানিয়াহু পশ্চিম তীরের দাঙ্গাকারীদের আইনের আওতায় আনার ঘোষণা দেন।
পশ্চিম তীরের আয়তন প্রায় ৫ হাজার ৬৫৫ বর্গকিলোমিটার এবং সেখানে প্রায় ২৭ লাখ ফিলিস্তিনি বসবাস করেন। পশ্চিম তীরকে প্রস্তাবিত স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ড হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সাম্প্রতিক গাজায় যুদ্ধবিরতির পর আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবি দিন দিন শক্তিশালী হচ্ছে।
সূত্র: রয়টার্স