সম্প্রতি ভারতজুড়ে কার্যকর হয়েছে বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধন আইন (সিএএ)। এবার সেই সিএএ আতঙ্কে আত্মঘাতী হওয়ার অভিযোগ উঠলো খোদ কলকাতায়। এই অভিযোগ করেছে মৃতের পরিবার।
কলকাতার নেতাজি নগরের বাসিন্দা দেবাশীষ সেনগুপ্ত ৩১ বছরের যুবক। সম্প্রতি তিনি তার মামার বাড়ি সুভাষগ্ৰামে আত্মঘাতী হন। পরিবারের দাবি, সিএএ আতঙ্কেই আত্মঘাতী হয়েছেন দেবাশীষ। এ ঘটনায় নেতাজিনগর থানায় এফআইআর দায়ের করেছেন মৃতের বাবা।
দেবাশীষ সেনগুপ্তের মামার অভিযোগ, দেশে সিএএ কার্যকর হওয়ার পর থেকেই আতঙ্কে ভুগছিলেন দেবাশীষ। পরিবারের লোকদের বারবার বলছিলেন, যদি তাকে দেশ থেকে বের করে দিয়ে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়, তবে তিনি কী করবেন। এই আতঙ্কের কথা দেবাশীষ তার পরিবারের সবাইকে জানিয়েছিলেন। এরপর গত ১৯ মার্চ তিনি সুভাষগ্রামে মামার বাড়িতে যান। গত বুধবার (২০ মার্চ) সেখানে ঘর থেকে দেবাশীষের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।
দেবাশীষের মাসি বলেন, সিএএ যেদন থেকে কার্যকর হয়েছে, ও বলতো, মাসি, যদি আমাকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়। আমার বার্থ সার্টিফিকেট নেই। আমার বাবা যে বাংলাদেশ থেকে এসেছিল, আবার যদি সেখানেই পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু আমি বলতাম, তোর তো সব কাগজ রয়েছে। তোকে কেউ তাড়াবে না। তারপরও সে শুনতো না।
তিনি আরও বলেন, দেবাশীষের জন্ম হয়েছিল হাজরার চিত্তরঞ্জন মেডিকেল কলেজে ১৯৮৫ সালে। তবে আধার কার্ডে তার ঠিকানায় ভুল ছিল।
দেবাশীষের মানসিক চিকিৎসা করানো হয়েছিল। বেশ কিছুদিন সুস্থ থাকার পর হঠাৎই করে এই ঘটনা ঘটিয়ে বসেন তিনি।
দেবাশীষ সেনগুপ্তর দেহ উদ্ধার করে কলকাতার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনার পেছনে অন্য কোন কারণ রয়েছে কি না জানার জন্য তদন্ত নেমেছে পুলিশ।