আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
পাকিস্তানে আকস্মিক বন্যা ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে এক সপ্তাহে অন্তত ৬৪ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া প্রাকৃতিক এই দুর্যোগে আহত হয়েছেন আরও কমপক্ষে ১১৭ জন। বুধবার দেশটির সরকারি এক সংস্থার বরাত দিয়ে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এই তথ্য জানিয়েছে।
দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এনডিএমএ) বলেছে, বন্যা-বৃষ্টিপাতে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে। এই প্রদেশে এখন পর্যন্ত ২৩ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। তাদের মধ্যে ১০ জন শিশু।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, দেশটির সোয়াত উপত্যকায় দেখা দেওয়া আকস্মিক বন্যায় গত সপ্তাহে অন্তত ১৪ জন ভেসে গেছেন। পাঞ্জাব প্রদেশে ভারী বৃষ্টিতে ঘরবাড়ি ধসে ও আকস্মিক বন্যায় আরও ২১ জন মারা গেছেন; যাদের ১১ জন শিশু।
এছাড়া দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় সিন্ধু প্রদেশে ১৫ জন এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় বেলুচিস্তানে ৫ জন নিহত হয়েছেন। দেশটির জাতীয় আবহাওয়া বিভাগ সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, আগামী শনিবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাত এবং আকস্মিক বন্যার উচ্চ ঝুঁকি রয়েছে।
এর আগে, গত মে মাসে পাকিস্তানে প্রবল বর্ষণ ও ঝড়ের কারণে অন্তত ৩২ জনের প্রাণহানি ঘটে। ওই সময় দেশটিতে বসন্ত মৌসুম চললেও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চরম বৈরী আবহাওয়া পরিস্থিতি দেখা যায়। এমনকি কিছু কিছু এলাকায় প্রবল শিলাবৃষ্টিও দেখা যায়। বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর তালিকায় রয়েছে পাকিস্তান। দেশটির ২৫ কোটি ৫০ লাখ মানুষ ঘন ঘন বৈরী আবহাওয়ার মুখোমুখি হচ্ছেন।
২০২২ সালে পাকিস্তানে ভয়াবহ বন্যা দেখা যায়। ওই সময় বন্যায় দেশটির এক-তৃতীয়াংশ এলাকা পানিতে তলিয়ে যায় এবং ১ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটে। সূত্র: এএফপি।
এশিয়ান পোস্ট/ আরজে