এশিয়ান পোস্ট ডেস্কঃ
‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে গত কয়েকদিনের মতো আজও সচিবালয়ে বিক্ষোভ করছেন কর্মকর্তা–কর্মচারীরা। সোমবার (২৭ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সচিবালয়ের গেটগুলোর সামনে অবস্থান নেন তারা। এতে সবগুলো গেটই বন্ধ রয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ১, ২ ও ৪ নম্বর গেট বন্ধ করে দেয়। তবে তিন নম্বর গেট বন্ধ না করায় তা জোর করে বন্ধ করে দেন কর্মচারীরা। পৌনে ১টা পর্যন্ত বিক্ষোভ চলছিল সচিবালয়ে।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কর্মচারীরা সচিবালয়ের প্রধান গেট বন্ধ করে দিয়ে সেখানে অবস্থান নেন। সচিবালয় প্রবেশের অন্য গেটলোও বন্ধ করে দিয়েছেন তারা।
বিক্ষোভ মিছিলে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘অবৈধ কালো আইন, বাতিল কর, করতে হবে’, ‘কর্মচারী মানে না, অবৈধ কালো আইন’, ‘মানি না মানবো না, অবৈধ কালো আইন’, ‘এক হও লড়াই কর, ১৮ লাখ কর্মচারী’, ‘সচিবালয়ের কর্মচারী, এক হও এক হও’, ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’- এ ধরনের বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন।
বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিক্ষোভে অংশ নিতে কাজ রেখে নিচে নেমে এসেছেন। অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ৬ নম্বর ভবনের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল সচিবালয় চত্বর প্রদক্ষিণ শুরু করে। মিছিলটি এক নম্বর গেটের পাশ ঘেঁষে ১ ও ২ নম্বর ভবনের করিডোর দিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নতুন ভবনের নিচে অবস্থান নেয়। সেখানে তারা বিকেল ৪টা পর্যন্ত অবস্থান করার ঘোষণা দেন। এর মধ্যে সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলের বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কর্মচারী নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ না করা হলে বিকাল ৪টায় কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানান কর্মচারী নেতারা।
এর আগে ২২ মে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অধ্যাদেশটির খসড়া অনুমোদনের পর থেকেই সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আইনটি প্রত্যাহারের দাবিতে সচিবালয়ে বিক্ষোভ করে আসছিলেন। রোববার (২৫ মে) সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সবগুলো সংগঠন সম্মিলিতভাবে অধ্যাদেশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে। অধ্যাদেশটি প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
এশিয়ান পোস্ট/আরজে