অনলাইন রিপোর্টার
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিশেষ নিরাপত্তা ও অপারেশনাল কারণে যাত্রী ছাড়া সব ধরনের ভিজিটর প্রবেশ সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বিমানবন্দর এলাকায় শৃঙ্খলা বজায় রাখা, যাত্রীদের নির্বিঘ্ন যাতায়াত নিশ্চিত করা এবং সার্বিক নিরাপত্তা জোরদারের লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জারি করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শুধুমাত্র টিকিটধারী যাত্রী এবং সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরাই বিমানবন্দর টার্মিনালে প্রবেশ করতে পারবেন। যাত্রী ছাড়া অন্য কোনো দর্শনার্থী, স্বজন বা আগত ব্যক্তিকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, আগামী ২৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে ২৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে। উক্ত সময়ে আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের যাত্রীদের স্বাভাবিক যাতায়াত অব্যাহত থাকবে। তবে যাত্রীদের সঙ্গে আসা অপ্রয়োজনীয় লোকজনকে বিমানবন্দর এলাকায় প্রবেশ না করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
কর্তৃপক্ষের মতে, সাম্প্রতিক সময়ে যাত্রী চাপ বৃদ্ধি, নিরাপত্তা ঝুঁকি এবং অপারেশনাল ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে উৎসব ও ছুটিকেন্দ্রিক ভ্রমণের সময় বিমানবন্দরে অতিরিক্ত ভিড় সৃষ্টি হয়, যা নিরাপত্তা ও সেবা কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটাতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, যাত্রীসেবার মান উন্নয়ন, টার্মিনালের ভেতরে চলাচল সহজ করা এবং নিরাপত্তা তল্লাশি কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যাত্রীদের সময়মতো চেক-ইন, ইমিগ্রেশন ও নিরাপত্তা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সহায়তা করতেই এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হচ্ছে।
এছাড়া বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সকল যাত্রী ও সংশ্লিষ্টদের নির্ধারিত সময়ের আগে বিমানবন্দরে উপস্থিত হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে। একই সঙ্গে কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মেনে চলা এবং নিরাপত্তা কর্মীদের সহযোগিতা করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিমানবন্দর এলাকায় প্রবেশের ক্ষেত্রে যাত্রীদের বৈধ টিকিট ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঙ্গে রাখার অনুরোধ করা হয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা বা অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে সবাইকে সচেতন থাকার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ আশা প্রকাশ করে জানিয়েছে, যাত্রীসেবা, নিরাপত্তা এবং অপারেশনাল শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে গৃহীত এই সিদ্ধান্তে যাত্রী ও সাধারণ জনগণের পূর্ণ সহযোগিতা পাওয়া যাবে। নির্ধারিত সময় শেষে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।