অনলাইন রিপোর্টারঃ
সরকার ঘোষিত বাড়িভাড়া ভাতা বৃদ্ধিকে ‘অপর্যাপ্ত ও অবাস্তব’ আখ্যা দিয়ে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন দেশের বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুল ও কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা। মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া ভাতার দাবিতে তারা রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘লাগাতার অবস্থান’ কর্মসূচি পালন করছিলেন। এ সময় পুলিশ তাদের সেখান থেকে সরাতে লাঠিপেটা করে, সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান ব্যবহার করে। এতে কয়েকজন শিক্ষক-কর্মচারী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
আজ রোববার সকাল ৮টা থেকে মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া দেওয়াসহ তিন দফা দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট’-এর ব্যানারে এ কর্মসূচিতে তারা অংশ নেন।
তাদের অন্য দুটি দাবি হলো শিক্ষক ও কর্মচারী উভয়ের জন্য চিকিৎসা ভাতা দেড় হাজার টাকা করা এবং কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশ করা। বিপুলসংখ্যক শিক্ষক-কর্মচারী অংশ নেওয়ায় প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম শিক্ষকদের রাস্তা ছেড়ে দিতে আলটিমেটাম দেন। তিনি বলেন, “আপনারা শহীদ মিনারে চলে যান, পাঁচ মিনিট সময় দেওয়া হলো। পাঁচ মিনিট পরে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব। আপনাদের নেতৃবৃন্দ শহীদ মিনারে চলে গেছেন, সুতরাং আপনারা এখানে রাস্তা অবরোধ করবেন না।”
কিন্তু আন্দোলনরত শিক্ষকরা সরতে রাজি হননি। তাদের একজন নজরুল ইসলাম বলেন, “আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাস্তা ছাড়ব না।” এর পরপরই পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান ছোড়ে এবং লাঠিপেটা করে। এতে কয়েকজন আহত হন। আহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
এশিয়ানপোস্ট/ এফআরজে