আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রচেষ্টা কেবল আরও সমস্যার সৃষ্টি করবে এবং যুদ্ধবিরতি প্রচেষ্টাকে বিপদের মুখে ফেলবে। শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে অ্যাসোসিয়েট প্রেস।
বৃহস্পতিবার ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল নোবোয়া ও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর কুইটোতে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা সব দেশকে স্পষ্ট করে বলেছি—এই স্বীকৃতির ব্যাপারটা ভুয়া, এটা বাস্তব নয়। যদি এটা করা হয়, তাহলে আরও সমস্যা তৈরি হবে।’
রুবিও সতর্ক করে বলেন, এই স্বীকৃতির ফলে প্রতিক্রিয়া আসবে, যুদ্ধবিরতি পাওয়া আরও কঠিন হবে, এমনকি হামলার আশঙ্কাও তৈরি হতে পারে। তিনি ইসরাইলের পশ্চিম তীর সংযুক্তকরণ পরিকল্পনা নিয়ে সরাসরি মন্তব্য না করলেও বলেন, বিষয়টি ‘সম্পূর্ণ পূর্বানুমেয়’।
রুবিওর অভিযোগ, পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে শক্তিশালী করার পদক্ষেপ গাজায় প্রতিদ্বন্দ্বী হামাসকে আরও সাহসী করে তুলেছে। তিনি দাবি করেন, ‘ফ্রান্স তাদের ঘোষণা দেওয়ার দিনই হামাস আলোচনার টেবিল ছেড়ে চলে যায়।’
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ২২ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে আয়োজিত সম্মেলনে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ইসরাইলের অচলাবস্থা ও মানবিক বিপর্যয়ের কারণে তিনি আর নীরব থাকতে পারেন না।
এদিকে, বুধবার ইসরাইলের চরম ডানপন্থি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোত্রিচ পশ্চিম তীরের বড় অংশ দখলের ডাক দেন, যাতে ‘ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের ধারণাকে সমাধিস্থ’ করা যায়। বেলজিয়াম, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়াসহ একাধিক দেশ ইতোমধ্যেই ফ্রান্সের উদ্যোগে যোগ দিয়েছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাত সতর্ক করেছে, পশ্চিম তীর সংযুক্তকরণ হলে সেটি ‘লাল দাগ’ হবে এবং ২০২০ সালের আব্রাহাম চুক্তিকে গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। এই চুক্তিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তাঁদের উত্তরাধিকারমূলক অর্জন হিসেবে তুলে ধরেছিলেন।
ট্রাম্প ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের অভূতপূর্ব হামাস হামলার পর গাজায় ইসরাইলের নির্মম অভিযানের অন্যতম প্রধান সমর্থক হিসেবে অবস্থান নিয়েছেন।
এশিয়ানপোস্ট/আরজে