সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১১:০৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন হয়নি : মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ট্রাম্প-জিনপিং বৈঠক বৃহস্পতিবার, চুক্তির কাঠামো নিয়ে একমত দুইদেশ চালু হচ্ছে পাকিস্তান-ইরান-তুরস্ক ট্রেন ভাইস প্রেসিডেন্ট নয়, ৩য় বার প্রেসিডেন্ট প্রার্থিতার ইঙ্গিত দিলেন ট্রাম্প অরুণাচলের কাছে ৩৬টি বিমান আশ্রয়কেন্দ্র করেছে চীন, চিন্তায় ভারত মিয়ানমারের নির্বাচনে আসিয়ান পাঠাচ্ছে না পর্যবেক্ষক টেকনোক্র্যাট সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে রাজি গাজা নিয়ন্ত্রক গোষ্ঠী ভারতের ২ রাজ্যে ৬৪ শিশুর দৃষ্টিশক্তি কেড়ে নিয়েছে ‘দিওয়ালি খেলনা’ গাজায় নতুন বেসামরিক প্রধান নিয়োগ দিলো যুক্তরাষ্ট্র এশিয়া সফরে ট্রাম্প, কিমের সঙ্গে বৈঠকের প্রত্যাশা
শিরোনাম :
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন হয়নি : মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ট্রাম্প-জিনপিং বৈঠক বৃহস্পতিবার, চুক্তির কাঠামো নিয়ে একমত দুইদেশ চালু হচ্ছে পাকিস্তান-ইরান-তুরস্ক ট্রেন ভাইস প্রেসিডেন্ট নয়, ৩য় বার প্রেসিডেন্ট প্রার্থিতার ইঙ্গিত দিলেন ট্রাম্প অরুণাচলের কাছে ৩৬টি বিমান আশ্রয়কেন্দ্র করেছে চীন, চিন্তায় ভারত মিয়ানমারের নির্বাচনে আসিয়ান পাঠাচ্ছে না পর্যবেক্ষক টেকনোক্র্যাট সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে রাজি গাজা নিয়ন্ত্রক গোষ্ঠী ভারতের ২ রাজ্যে ৬৪ শিশুর দৃষ্টিশক্তি কেড়ে নিয়েছে ‘দিওয়ালি খেলনা’ গাজায় নতুন বেসামরিক প্রধান নিয়োগ দিলো যুক্তরাষ্ট্র এশিয়া সফরে ট্রাম্প, কিমের সঙ্গে বৈঠকের প্রত্যাশা
নোটিশ :
Eid Bazar ! Eid Bazar ! Held on 30th March Saturday @ Paterson Firemanhall, Adress 226 Walnut ST, Paterson, NJ 07522 /  9th International Women's Day Award Held on April 27, 2024 @ The Brownston, 251 West Broadway, Paterson, NJ .7522 Ticket 70 Dollar Per Person Get Tickets From www.eventbrite.com

বাংলাদেশের ওপর চাপ বাড়াতে চায় আরাকান আর্মি

রাজু / ৩৭ বার
আপডেটের সময় : সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১১:০৮ অপরাহ্ন
বাংলাদেশের ওপর চাপ বাড়াতে চায় আরাকান আর্মি

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

মিয়ানমারের বাংলাদেশ সীমান্তের অংশ এখন পুরোটাই নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে দেশটির বিদ্রোহী আরাকান আর্মি। ফলে এখন বাংলাদেশের সীমান্ত ঘেঁষেই নানা ধরনের তৎপরতা চালাচ্ছে আরাকান আর্মি। বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড- বিজিবিকে এখন আগের চেয়ে অনেক সতর্ক থাকতে হচ্ছে। মাদক ও অস্ত্র চোরাচালান, জেলে অপহরণ ও জিম্মি করে অর্থ আদায় এবং রোহিঙ্গাদের পাচার করে অর্থ সংগ্রহ করার অভিযোগ রয়েছে আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে।

 

স্থানীয় পর্যায়ে কথা বলে জানা গেছে, নাফ নদী এবং স্থল সীমান্তের পুরো এলাকাতেই রয়েছে আরাকান আর্মির সদস্যদের অবস্থান। মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে পরবর্তী অভিযানের জন্য অর্থ ও অস্ত্র সংগ্রহের জন্য মরিয়া সশস্ত্র সংগঠনটি।

সীমান্তে বাংলাদেশ কড়াকড়ি বাড়ানোয় আরাকান আর্মি কিছুটা বেকায়দায় পড়েছে। তাই তারা নানা তৎপরতার মাধ্যমে বাংলাদেশের ওপর চাপ তৈরি করতে চাইছে বলে জানা গেছে। আরকান আর্মির একটি ঘনিষ্ঠ সূত্রের দাবি, চালের সংকট না হলেও অন্যান্য খাদ্য, পোশাক এবং ওষুধ সংকটে আছে তারা। অন্যদিকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আরাকান আর্মির সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে বলে জানা গেছে। সীমান্তে বিজিবি টহল ও সদস্য সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে।

 

সীমান্তে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বাড়ছে

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের জেলেদের নাফ নদী থেকে অপহরণ করে নিয়ে মুক্তিপণ দাবির একাধিক ঘটনা ঘটেছে। মিয়ানমারের সামরিক জান্তার নিয়ন্ত্রণে যে মাদক ব্যবসা চলতো, সেটির নিয়ন্ত্রণও এখন আরাকান আর্মির হাতে চলে গিয়েছে। মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে এই মুহূর্তে আরাকান আর্মির বড় কোনো সংঘর্ষ চলছে না। তবে মাদক ব্যবসা নিয়ে নানা সংঘাতের তথ্য পাওয়া গেছে।

 

গত এক মাসে বেশ কয়েকবার আরাকান আর্মি নাফ নদী থেকে মাছ ধরার সময় বাংলাদেশের জেলেদের অপহরণ করে নিয়ে গেছে। ২৬ আগস্ট কক্সবাজারের টেকনাফের নাইখংদিয়া এলাকার নাফ নদী থেকে ১১ জন বাংলাদেশি জেলেকে দুইটি মাছ ধরার ট্রলারসহ ধরে নিয়ে যায়। ২০ আগস্ট থেকে ২৬ আগস্ট পর্যন্ত ৫১ জন জেলে আরাকান আর্মির হাতে আটক হওয়ার পর থেকে এখনো তারা ছাড়া পাননি।

ট্রলার মালিকদের তথ্য অনুযায়ী, ৫ থেকে ২৮ আগস্ট পর্যন্ত ২৩ দিনে আরাকান আর্মি ১০টি ট্রলারসহ ৬৩ জন জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে। গত বছরের ডিসেম্বর থেকে এ পর্যন্ত নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে তারা ২৬৭ বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে। তাঁদের মধ্যে ১৮৯ জনকে এবং ২৭টি নৌযান ফেরত আনা সম্ভব হয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে কোস্ট গার্ড বাংলাদেশের জলসীমায় টহল বাড়িয়েছে। বাংলাদের জেলেরা যাতে নাফ নদীর সীমান্তরেখা অতিক্রম করে মিয়ানমারের জলসীমায় ঢুকে না পড়েন সেদিকেও তারা সতর্ক দৃষ্টি রাখছে।

২৯ আগস্ট আরাকান আর্মির কবলে পড়ার আগেই কক্সবাজারের টেকনাফে নাফ নদী সীমান্ত অতিক্রম করে মিয়ানমার জলসীমায় ঢুকে পড়া ১৯টি ট্রলারসহ ১২২ জেলেকে ফেরত এনেছে কোস্টগার্ড। তাদের মধ্যে ২৯ জন বাংলাদেশি এবং ৯৩ জন রোহিঙ্গা।

কোস্টগার্ড সদর দপ্তরের গণমাধ্যম কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, “রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘাতের কারণে সীমান্তের বড় অংশ এখন বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে। এর ফলে শূন্যরেখা অতিক্রম করে মিয়ানমারে ঢুকলেই জেলেদের ধরে নিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। এ অবস্থায় জেলেদের ফেরত আনতে গিয়ে কোস্টগার্ডসহ সীমান্তে নিয়োজিত বাহিনীকে নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। এতে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ, মাদক ও অস্ত্রপাচার রোধেও চ্যালেঞ্জ বাড়ছে।”

 

টেকনাফের শাহপরী দ্বীপ ফেরিঘাট বোট মালিক সমিতির সভাপতি গফুর আলম ডয়চে ভেলেকে জানান, “নাফ নদীতে এখন স্পিডবোট দিয়ে আরাকান আর্মি টহল দেয়। তারা ধাওয়া করে বাংলাদেশি জেলে ও বোট আটক করে নিয়ে যায়। আমরা বিজিবি এবং স্থানীয় প্রশাসনের কাছে নিয়মিত তালিকা এবং ন্যাশনাল আইডি কার্ড দিয়ে তারা উদ্ধারে সহযোগিতা চাই। কোস্ট গার্ড আরেকটু সক্রিয় হলে হয়তো তাদের তৎপরতা থামানো যেতো।”

তিনি বলেন, “এখন আসলে পুরো জলসীমায় আরাকান আর্মি। আগে আমাদের বন্দর থেকেই তারা খাদ্যসহ আরো অনেক কিছু কিনে নিতো। কিন্তু এখন তারা পারছে না। তারা এখন জেলেদের অপহরণ ও মাছ ধরার ট্রলার নিয়ে মুক্তিপণ আদায় করে। আর লাখ লাখ টাকার মাছ নিয়ে যায়।”

 

মিয়ানমার সীমান্তে অস্ত্র মানবপাচারের রুট

 

কক্সবাজার এলাকাকে অস্ত্রপাচারের রুট হিসাবেও ব্যবহার করছে আরাকান আর্মি। ২৭ আগস্ট কক্সবাজারের টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের খরের দ্বীপ এলাকায় বিজিবির সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ার পর অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। বিজিবি সদস্যরা পরিত্যক্ত অবস্থায় দুটি জি-৩ রাইফেল, একটি এমএ-১ (ভ্যারিয়েন্ট এমকে ২) রাইফেল, একটি এলএম-১৬ রাইফেল এবং আটটি ম্যাগাজিনসহ মোট ৫০৭ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে।

বিজিবি জানায়, “খরের দ্বীপ এলাকায় নদীপথে বিশেষ অভিযানের সময় সন্দেহজনক কিছু ব্যক্তির উপস্থিতি টের পায় বিজিবি। কিন্তু বিজিবি সদস্যদের দেখা মাত্র সন্দেহজনক ব্যক্তিরা কয়েক রাউন্ড গুলি করে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে নৌকায় করে পালিয়ে যায়।”

১১ আগস্ট উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালী সীমান্তে বর্ডার গার্ড বিজিবির কাছে একে-৪৭ রাইফেলসহ এক তরুণ আত্মসমর্পণ করেছে। বিজিবি তাকে আরাকার আর্মির সদস্য বলে দাবি করেছে। আরাকান আর্মির আরো সদস্য আত্মসমর্পণ করতে চায় বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। যেসব রোহিঙ্গা প্রলোভনে পড়ে আরাকান আর্মির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলো তারা এখন আত্মসমর্পণ করতে চায় বলে স্থানীয় পর্যায়ে কথা বলে জানাগেছে। বালুখালী সীমান্তে আত্মসমর্পণকারী ওই তরুণও এমন তথ্য দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

কক্সবাজারের উখিয়া ৬৪ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন ডয়চে ভেলেকে জানান, “খরের দ্বীপ এলাকায় থেকে যে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে তা সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী চোরাকারবারী অথবা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর মাধ্যমে আনা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এগুলো যেকোন সন্ত্রাসী কার্যক্রম, মাদক ও অস্ত্র চোরাচালান অথবা নাশকতার উদ্দেশ্যে মজুদ করা হয়েছিল।”

তিনি বলেন, “আমাদের এখান দিয়ে যাতে কোনো অস্ত্র চোরাচালান না হতে পারে সেজন্য আমরা সতর্ক আছি। পুরো সীমান্তে ফোর্স বাড়ানোসহ বিজিবির নতুন একটি ব্যাটেলিয়নই করা হয়েছে।”

মিয়ানমার সীমান্তে এখন ৫০ হাজারের মতো রোহিঙ্গা বাংলাদেশের অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় আছে। তারা বিচ্ছিন্নভাবে অনুপ্রবেশ করলেও দলবেঁধে ঢুকতে পারছে না। এই অনুপ্রবেশের সঙ্গেও একটি সিন্ডিকেট জড়িত বলে জানা গেছে। কক্সবাজারের স্থানীয় বাসিন্দা এবং আরাকান আর্মির সদস্যরাও এই সিন্ডিকেটের সঙ্গে যুক্ত। এর মাধ্যমেও অর্থ সংগ্রহের অভিযোগ রয়েছে আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে।

 

রাখাইনে এখন রোহিঙ্গারা আরাকান আর্মির নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মোহাম্মদ জোবায়ের। তিনি বলেন, “ওই রোহিঙ্গারা সীমান্তের ওপারে অবস্থান করছেন।”বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা ফটো সাংবাদিক সেলিম খান জানান, “রাখাইনে চরম খারাপ অবস্থার কারণে সীমান্তে রোহিঙ্গাদের সংখ্যা বাড়ছেই।” তিনি বলেন, “যারা টাকা পয়সা দিচ্ছে তারা আসতে পারছে। আরাকান আর্মিই এটা করছে। তারা নির্যাতনও করছে আবার টাকার বিনিময়ে আবার কক্সবাজারে প্রবেশের সুবিধাও করে দিচ্ছে।”

 

সীমান্তে সতর্কতা বাড়াচ্ছে বিজিবি

 

২৩ আগস্ট টেকনাফের নাফ নদী দিয়ে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। বাংলাদেশের সীমান্ত সংলগ্ন রাখাইনে এখন প্রায়ই গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। গত ১০ দিনের মধ্যে টেকনাফের হোয়াইকং সীমান্ত, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে রাখাইন রাজ্যে ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে।

 

আরাকান আর্মির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, সামরিক জান্তা ছাড়াও প্রতিদ্বন্দ্বী সশস্ত্র গ্রুপগুলোর সঙ্গেও সংঘাত তৈরি হচ্ছে । আরাকান স্যালভেশন আর্মি (আরসা), আরাকান রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনসহ (আরএসও) কয়েকটি গোষ্ঠী। মিয়ানমারে বাংলাদেশের সাবেক সামরিক অ্যাটাশে মেজর জেনারেল (অব.) মো. শহীদুল হক জানান, “আরাকান আর্মি এখন ওই গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে। ফলে তাদের এখন একাধিক প্রতিপক্ষকে মোকাবেলা করতে হচ্ছে। আবার সম্প্রতি মিয়ানমার জান্তাও এয়ার রেইড চালিয়েছে। ফলে আরাকান আর্মি বাংলাদেশ সীমান্তে  নিরাপত্তার জন্য তাদের অবস্থান ও তৎপরতা বাড়িয়েছে।”

উখিয়ার পালংখালি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী ডয়চে ভেলেকে জানান, “আমরা মাঝেমধ্যেই সীমান্তের ওপারে গোলাগুলির শব্দ শুনি। কখনো কখনো তা আমাদের সীমান্তের কাছাকাছি চলে আসে। তারা আমাদের সীমান্তের ভিতরেও ঢুকে পড়ে।” তার কথা, “এখানে মাদক চোরাচালান ও অস্ত্র  চোরাচালানের ঘটনাও আছে। আগে বাংলাদেশে মিয়ানমারের জান্তা ইয়াবা পাচার করত। এখন এর নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে আরাকান আর্মি।”

 

কক্সবাজার বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মহিউদ্দিন আহমদ ডয়চে ভেলেকে জানান, “বাংলাদেশের ভূখন্ডে কোনো সন্ত্রাসী তৎপরতা চালাতে দেয়া হবে না। সীমান্তে সব ধরনের অপতৎরতা কঠোর হাতে দমন করা হবে। কোনও সন্ত্রাসী সংগঠনকে সহায়তা দেওয়া হবে না।”

তিনি বলেন, “আহত ও অসহায় কিছু রোহিঙ্গার অবস্থা দেখে মানবিকতার খাতিরে তাদের ঢুকতে দেওয়া হয়েছে। তবে সীমান্ত সুরক্ষায় আমরা সর্বোচ্চ আন্তরিকতা দিয়ে কাজ করছি। মাদক ও অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কঠোর নজরদারি চলছে। সীমান্ত পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইতিমধ্যে সরকার বিজিবিতে জনবল বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”

 

“এখন রাখাইন নিয়ন্ত্রণ করছে আরাকান আর্মি। আমরা তাদের সঙ্গে যোগায্গে রাখছি। কোনো বিষয় হলে তাদের সঙ্গে কথা বলছি,” জানান তিনি। কক্সবাজার সীমান্ত দিয়ে মাদক চোরাচালান এখন বড় চ্যালঞ্জে হয়ে দাঁড়িয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “এটা নিয়ে বিজিবি কাজ করছে।”

 

কক্সবাজার ও বান্দরবানের সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার থেকে ইয়াবা, আইসের (ক্রিস্টাল মেথ) মতো মাদক পাচার হচ্ছে। গত এক বছরে সীমান্ত এলাকায় কেবল বিজিবি এক হাজার ৩২১ কোটি টাকার মাদক জব্দ করেছে। মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের ২৭১ কিলোমিটারের সীমান্ত রয়েছে। এর মধ্যে নাফ নদীর ৮৪ কিলোমিটার জলসীমানা রয়েছে। দুর্গম এসব স্থান দিয়ে ইয়াবা, আইসের পাশাপাশি অস্ত্র-গোলাবারুদও আসছে।

মিয়ানমারে বাংলাদেশের সাবেক সামরিক অ্যাটাসে মেজর জেনারেল(অব.) মো. শহীদুল হক জানান, “সামনে মিয়ানমারে নির্বাচন। ফলে রাখাইনে সশস্ত্র গোষ্ঠী গুলোর মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছ। আরাকান আর্মি এখন অর্থ এবং অস্ত্র সংকটে পড়েছে। আর তাই অস্ত্র এবং অর্থের জন্য তারা মরিয়া হয়ে উঠছে।”

 

তিনি বলেন, “তারা চাইছে বাংলাদেশ থেকে খাদ্যের সরবরাহ। অন্যদিকে মাদক এবং অস্ত্র চোরাচালানও বাড়াতে চাইছে। তারা অর্থ সংকটে আছে। তবে বাংলাদেশ সরকারকে এসব ব্যাপারে আরো কঠোর অবস্থানে যেতে হবে।”সূত্র- ডয়চে ভেলে

আকাশজমিন/আরজে


এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর