আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
ইয়েমেনের রাজধানী সানায় গত বৃহস্পতিবার হামলা চালায় দখলদার ইসরায়েল। এ হামলায় হুতি বিদ্রোহী সরকারের প্রধানমন্ত্রী আহমেদ আল-রাহাভি নিহত হওয়ার তথ্য জানা গেছে। তবে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম চ্যানেল-১২ জানিয়েছে, তাদের সেনাবাহিনীর ধারণা— শুধু প্রধানমন্ত্রী নন, তার সরকারের মন্ত্রিসভার আরও ১২ সদস্য নিহত হয়েছেন। যদিও এ ধারণার সত্যতা পুরোপুরি যাচাই করতে পারেনি ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। কিন্তু হামলায় হুতি সরকারের মন্ত্রিসভার কোন কোন মন্ত্রী মারা গেছেন সেটি নিরূপণের চেষ্টা চলছে।
ইয়েমেনের সংবাদমাধ্যম আল-জুমহুরিয়া এবং আদেন আল-ঘাদ প্রধানমন্ত্রী আহমেদ আল-রাহাভির মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছে। এছাড়া তার কয়েকজন সহযোগীও হামলায় নিহত হয়েছে বলে জানায় সংবাদমাধ্যমগুলো। তবে ওই সহযোগীগুলো কারা সে তথ্য প্রকাশ করেনি তারা।
ইসরায়েলি সূত্র জানিয়েছে, তাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিল বিদ্রোহী সরকারের মন্ত্রীরা এক জায়গায় জড়ো হবেন। এরপর ওই গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানী সানায় হামলা চালানো হয়।
ইসরায়েলি একটি সংবাদমাধ্যমে জানায়, ওইদিন সানায় আলাদা দুই জায়গায় হামলা চালানো হয়। এরমধ্যে একটি জায়গায় ১০ জন মন্ত্রী ছিলেন। যারা হুতিদের প্রধান নেতার একটি বক্তব্য শোনার জন্য জড়ো হয়েছিলেন। হুতি সরকারের মন্ত্রীদের ওপর হামলা নিয়ে এখন পর্যন্ত ধোঁয়াশা রয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী ও অন্য মন্ত্রীরা এক জায়গায় ছিলেন নাকি আলাদা ছিলেন সেটি এখনো স্পষ্ট নয়।
চ্যানেল-১২ আরও জানিয়েছে, হামলার আগে হুতি সেনাপ্রধান ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী বৈঠকের জন্য যাচ্ছিলেন। যে সময় হামলাটি হয় ওই সময় তারা দুজন হামলাস্থলেই ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সংবাদমাধ্যম ইয়েনেত জানিয়েছে, ইসরায়েলিদের পর্যবেক্ষণ বলছে হুতি সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা ও মন্ত্রীদের ওপর চালানো হামলা সফল হয়েছে এবং তাদের সবাই নিহত হয়েছেন। সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল
এশিয়ানপোস্ট/আরজে