আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামে মাঝারি মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। শনিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ১২ মিনিটের দিকে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে এতে কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
ভারতের জাতীয় ভূমিকম্প কেন্দ্র (এনসিএস) জানিয়েছে, মেঘালয়ের শিলং থেকে প্রায় ১৩৫ কিলোমিটার দূরে ৪ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। অন্যদিকে ইউরোপীয় ভূমধ্যসাগরীয় ভূমিকম্প কেন্দ্র (ইএমএসসি) জানায়, ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৫।
ইএমএসসির তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার গভীরে। আসামের রাজধানী গুয়াহাটি থেকে প্রায় ৯১ কিলোমিটার উত্তর-উত্তর-পূর্বে এবং ধেকিয়াজুলি শহর থেকে প্রায় ১৬ কিলোমিটার পশ্চিমে ছিল এর কেন্দ্রস্থল।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, ভূমিকম্পটি আসামের বিস্তৃত এলাকাজুড়ে অনুভূত হয়েছে। কম্পন অনুভব করেই অনেক বাসিন্দা আতঙ্কে ঘরবাড়ি ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। যদিও ভূমিকম্পটি তুলনামূলকভাবে মাঝারি মাত্রার ছিল, তবে অগভীর হওয়ায় কেন্দ্রস্থলের আশপাশের এলাকায় কম্পন তুলনামূলকভাবে বেশি অনুভূত হয়।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, ভূমিকম্পের কম্পন ধেকিয়াজুলি, উদালগুড়ি, খারুপতিয়া, ধিং, রাঙ্গাপাড়া, মঙ্গলদই, তেজপুর ও নগাঁওসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় অনুভূত হয়েছে। কোথাও কোথাও মানুষজন ভবন থেকে বেরিয়ে নিরাপদ স্থানে অবস্থান নেন।
প্রাথমিকভাবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভূমিকম্পে কোনো স্থাপনার ক্ষয়ক্ষতি কিংবা প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি। তবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে স্থানীয় প্রশাসন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
উল্লেখ্য, ভারতের আসাম এবং বাংলাদেশের সিলেটসহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্ত এলাকায় সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক ছোট ও মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ভূতাত্ত্বিকভাবে এই অঞ্চলটি ভূমিকম্পপ্রবণ হওয়ায় বিশেষজ্ঞরা এ ধরনের কম্পনের বিষয়ে আগে থেকেই সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে আসছেন।