রফিকুল ইসলাম রাজুঃ
আগামী ২৫ ডিসেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দীর্ঘদিন পর দেশে প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। ঢাকার রাজধানীর ৩০০ ফিট সড়কের পিংসিটি এলাকায় তারেক রহমানকে সংবর্ধনা দেয়ার জন্য বিশাল মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।
গত রোববার (২১ ডিসেম্বর) দুপুর থেকে বিশ্বরোড থেকে পূর্বাচলমুখী ৩০০ ফিট সড়কের অংশে শুরু হয়েছে মঞ্চ নির্মাণ। বিএনপির কমিটির সদস্যরা দিন-রাত পরিশ্রম করে কাজ দ্রুত শেষ করার চেষ্টা করছেন। ৩০০ ফিট সড়কের এই বিশাল মঞ্চের মাধ্যমে তারেক রহমানকে দেশের মানুষের কাছে গৌরবময় অভ্যর্থনা জানানো হবে।
বিএনপির নেতা-কর্মীরা জানান, দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে দীর্ঘদিন পর ফিরছেন তারেক রহমান, যার জন্য দেশবাসী অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। ২৫ ডিসেম্বর ঢাকায় অবতরণের পর বনানী-কাকলী হয়ে তিনি ৩০০ ফিট এলাকায় উপস্থিত হয়ে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ভাষণ দেবেন।
এদিকে, বিএনপি দল তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের জন্য ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কাছ থেকে লিখিত অনুমতি পেয়েছে। ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী রোববার রাতে এই অনুমতিপত্র বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর কাছে পাঠান।
১৯৯০ সালের পর থেকে দীর্ঘ প্রায় দেড় যুগ নির্বাসিত জীবন কাটানোর পর লন্ডন থেকে তারেক রহমান দেশে ফিরছেন। ২৫ ডিসেম্বর তিনি সিলেট হয়ে ঢাকায় আসবেন। বাংলাদেশ বিমানের নিয়মিত বাণিজ্যিক ফ্লাইটে সকাল ১১টা ৫৫ মিনিটে তিনি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন।
এর আগে বিএনপির বিভিন্ন শাখা-প্রতিষ্ঠান তারেক রহমানের জন্য একত্রিত হয়ে তার আগমনের প্রস্তুতি নিয়ে থাকে। ৩০০ ফিট এলাকায় হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থক অংশগ্রহণ করবেন বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
বিএনপি নেতা-কর্মীরা মনে করেন, তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় সূচনা করবে। তার নেতৃত্বে বিএনপি আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শক্তিশালী অবস্থান গ্রহণ করবে এবং দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে পুনরুদ্ধারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বিশাল মঞ্চ নির্মাণসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক কর্মসূচির মাধ্যমে তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের তাৎপর্য তুলে ধরা হবে। স্থানীয় পর্যায়ে নানা প্রস্তুতি চলছে যেন অনুষ্ঠানটি আয়োজনের স্বর্ণাক্ষরে লেখা হয়।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, ‘ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের জন্য প্রাপ্ত অনুমতির মাধ্যমে আমরা যথাযথভাবে আয়োজন সম্পন্ন করবো। দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য এ আয়োজন একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।’
এর পাশাপাশি রাজনৈতিক নেতারা বলেছেন, বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তারেক রহমানের ফিরে আসা নতুন উদ্যম ও আশার সঙ্কেত। দলীয় কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করবেন। তবে বিশেষ নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক প্রস্তুতিও চলমান রয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলো স্বদেশ প্রত্যাবর্তন অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে।