আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে দুই দেশের মধ্যে একটি সম্ভাব্য চুক্তির বিষয়ে অত্যন্ত আশাবাদী মনোভাব প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় সোমবার হোয়াইট হাউজে ব্রিফিংয়ে প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভেট বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে যে আলোচনার মাধ্যমে রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি চুক্তির দিকে অগ্রসর হবে।
তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই যুদ্ধ থামাতে জোরালো প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এরই অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকোফ বর্তমানে মস্কোতে রয়েছেন, যেখানে তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করছেন। হোয়াইট হাউজের মতে, এই বৈঠক যুদ্ধবিরতির পথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
ক্যারোলিন লেভেট জানান, “ট্রাম্প প্রশাসন সত্যিকার অর্থে এ যুদ্ধ বন্ধে কঠোর পরিশ্রম করছে। আমরা গতকাল ফ্লোরিডায় ইউক্রেনীয়দের সঙ্গে অত্যন্ত ফলপ্রসূ আলোচনা করেছি। আর এখন আমাদের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকোফ মস্কোয় গিয়ে সরাসরি আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন। আমরা চুক্তির ব্যাপারে খুবই আশাবাদী।”
স্টিভ উইটকোফ রবিবার ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রথম বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। সোমবারও তিনি ইউক্রেনীয় দলের সঙ্গে দ্বিতীয় দফা আলোচনা করেন, যেখানে যুদ্ধ বন্ধের সম্ভাব্য কাঠামো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
ইউক্রেনের প্রধান আলোচক রুস্তেম উমেরোভ জানিয়েছেন, আলোচনায় যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে, তবে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে। প্রধান আপত্তির বিষয় দনবাস অঞ্চল। রাশিয়া চুক্তির অংশ হিসেবে ইউক্রেনকে দনবাসের পুরো অঞ্চল তাদের হাতে তুলে দিতে বলছে। কিন্তু ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি স্পষ্ট জানিয়েছেন, তারা কোনও ভূখণ্ড ছাড়তে প্রস্তুত নন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত কাঠামো অনুযায়ী, চুক্তি হলে দোনেৎস্ক, লুহানস্ক ও ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাষ্ট্র। এর বিনিময়ে ইউক্রেনকে দেওয়া হবে নিরাপত্তা গ্যারান্টি, যা দেশটির ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তবে ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদানের দাবি যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করবে না বলেও জানানো হয়েছে।
সূত্র: দ্য নিউ আরব