আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
রাশিয়া ও ইউক্রেনের চলমান যুদ্ধে ইউক্রেন বর্তমানে কঠিন অবস্থায় রয়েছে। যুদ্ধের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি ইউক্রেনকে একটি কঠিন শর্ত দিয়েছেন— মস্কোর সঙ্গে আপস করতে হবে, নয়তো মার্কিন সহায়তা বন্ধ হয়ে যাবে। এদিকে, কেন এই শর্ত দেওয়া হলো তা ব্যাখ্যা করেছেন ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেন, ইউক্রেনের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো দুর্নীতি। তিনি জানান, “কিয়েভ দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতির জন্য প্রধান দায়ী বিষয় হলো দুর্নীতি।” ইউক্রেনের ওপর বহু অর্থনৈতিক ও সামরিক সহায়তা এসেছে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও ইউরোপের অন্যান্য দেশ থেকে, তবে এর বড় অংশ লুটপাট হয়েছে দেশটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সামরিক নেতাদের মাধ্যমে।
গত নভেম্বরে জ্বালানি খাতে দুর্নীতির অভিযোগে ইউক্রেনের আইনমন্ত্রী হারম্যান হালুশোঙ্কো ও জ্বালানিমন্ত্রী ভিতলানা গ্রিনচুককে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অন্তত ১০ কোটি ডলার ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও সাবেক ব্যবসায়িক অংশীদার তিমুর মিনদিচের বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছেন, যিনি এই ঘুষ চক্রের সমন্বয়ের অভিযোগে জড়িত।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনমত তৈরি হওয়ায় জেলেনস্কি স্বচ্ছতার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, “জ্বালানি খাতের সব কর্মকাণ্ডে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হবে। আমি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও দুর্নীতিবিরোধী তদন্তের সম্পূর্ণ সমর্থন দিচ্ছি।”
এই দুর্নীতি কেলেঙ্কারির ঘটনা জেলেনস্কির জন্য রাজনৈতিকভাবে বড় সংকট হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়ে নিজের ঘনিষ্ঠজনদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন, যা তাঁকে দেশব্যাপী দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলন ও বিরোধীদলীয় নেতাদের সমর্থন পেতে সাহায্য করেছে।