আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউজের কাছাকাছি ন্যাশনাল গার্ডের দুই সেনাকে গুলি করেছে এক বন্দুকধারী। গুলিবিদ্ধ দুই সেনার অবস্থা গুরুতর। স্থানীয় সময় বুধবার (২৬ নভেম্বর) মার্কিন প্রেসিডেন্টের দপ্তর হোয়াইট হাউজ থেকে মাত্র দুই ব্লক দূরে এ ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, একজন হামলাকারী ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার দুই সেনাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। গুলির শব্দে ন্যাশনাল গার্ডের অন্যান্য সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে হামলাকারীকে আটক করেন এবং গুলি চালিয়ে আহত করেন।
ঘটনার সময় ফ্লোরিডায় অবস্থান করা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, হামলাকারী একজন আফগান নাগরিক, যিনি ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন। ট্রাম্প বলেন, হামলাকারীর সঙ্গে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং শাস্তি দেবে দেশের আইন। তিনি আরও উল্লেখ করেন, আগের সরকারের সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে আসা আফগান নাগরিকদের পুনঃপরীক্ষা করা হবে।
সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, হামলাকারীর নাম রহমানউল্লাহ লাকানওয়াল। তিনি আফগানিস্তানের নাগরিক এবং বয়স ২৯ বছর।
ওয়াশিংটনের মেট্রোপলিটান পুলিশের সহকারী প্রধান জেফ ক্যারোল বলেছেন, হামলাকারী এক কোণা থেকে এসে ন্যাশনাল গার্ডের দুই সেনাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। সেনাদের ওপর এ হামলা আকস্মিকভাবে চালানো হয়। ন্যাশনাল গার্ডের অন্যান্য সদস্যরা হামলাকারীর ওপর অন্তত চারবার গুলি চালিয়ে তাকে আহত অবস্থায় আটক করেন। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়, যেখানে তার অবস্থা গুরুতর নয়।
এই হামলার কারণে হোয়াইট হাউজ এবং আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কঠোর করা হয়েছে। হামলার সময় উপস্থিত নিরাপত্তা ও পুলিশ সদস্যদের দ্রুত প্রতিক্রিয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ ধরনের হামলা সামরিক ও নিরাপত্তা জোনে সতর্কতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে। হামলার ঘটনায় হোয়াইট হাউজের কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হলেও সময়মতো প্রতিক্রিয়ার কারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
এই ঘটনায় মার্কিন প্রশাসন ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলো আইনি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যালোচনা করছে। হামলাকারীর প্রেক্ষাপট ও উদ্দেশ্য জানার জন্য তদন্ত শুরু হয়েছে। হামলার সময় গুলিবিদ্ধ সেনাদের চিকিৎসা চলছে এবং তাদের দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে হোয়াইট হাউজের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্ত করা হয়েছে এবং জনসাধারণকে সতর্ক থাকার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া হামলার ঘটনায় অন্যান্য নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান এবং ন্যাশনাল গার্ডের সদস্যরা দায়িত্বশীলভাবে কাজ করছে।