আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আদিয়ালা কারাগারে আছেন এবং সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। বুধবার (২৬ নভেম্বর) সামাজিক মাধ্যমে গুজব ছড়ায় যে তাকে আদিয়ালা কারাগার থেকে গোপনে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছে অথবা তিনি মারা গেছেন। এই সমস্ত খবর ভিত্তিহীন বলে কারা কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট করেছেন।
এক বিবৃতিতে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, “আদিয়ালা থেকে তাকে অন্যত্র সরানোর খবর সত্য নয়। তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পাচ্ছেন। তার অসুস্থতার খবর ভিত্তিহীন এবং তার সুস্থতা নিশ্চিত করা হচ্ছে।”
ইমরান খান ২০২২ সালে অনাস্থা ভোটে প্রধানমন্ত্রিত্ব হারান। এরপর তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, সেনাবাহিনীর সদরদপ্তরে হামলা এবং রাষ্ট্রের গোপন নথি ফাঁসের অভিযোগসহ বিভিন্ন মামলা দায়ের করা হয়। ২০২৩ সালে একাধিকবার গ্রেপ্তার করা হয়। আগস্ট ২০২৩ থেকে তিনি জেলেই অবস্থান করছেন।
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ জানিয়েছেন, কারাগারে ইমরান খানকে সর্বোচ্চ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, “তার জন্য যে খাবার আসে সেটির মেন্যু দেখুন। এগুলো অনেক পাঁচ তারকা হোটেলেও নেই। কারাগারে তার কাছে টেলিভিশন আছে এবং তিনি নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী যে কোনো চ্যানেল দেখতে পারেন। ব্যায়ামের জন্য যন্ত্রাংশও তার কাছে রয়েছে। ডাবল বেডের ব্যবস্থা রয়েছে।”
কারা কর্তৃপক্ষের এই বিবৃতির মাধ্যমে গুজব ও ভুয়া খবর প্রতিহত করার চেষ্টা করা হয়েছে। ইমরান খানের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সব ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও তার কারাগারে থাকা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে তার মৃত্যু বা অন্যত্র স্থানান্তরিত হওয়ার খবর ছড়ানোর ফলে জনসাধারণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। তবে কর্তৃপক্ষ দ্রুত এগুলো অস্বীকার করেছে।
খাজা আসিফের দাবি অনুযায়ী, ইমরান খানের জন্য যে খাবার, চিকিৎসা ও অন্যান্য সুবিধা দেওয়া হচ্ছে, তা সাধারণ কারাবন্দীর তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত। এই ব্যবস্থা করা হয়েছে যাতে তার নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও মানসম্মান বজায় থাকে।
কারা কর্তৃপক্ষের বক্তব্যে বলা হয়েছে, “তিনি যে কোনো চিকিৎসা বা প্রয়োজনীয় সুবিধা পাচ্ছেন। কারাগারে তাকে অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে রাখা হয়েছে।” এই তথ্য নিশ্চিত করেছে যে সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানো গুজব সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
২০২২ সালে ক্ষমতা হারানোর পর ইমরান খানের রাজনৈতিক কার্যক্রম ও মামলার বিষয়গুলো পাকিস্তানের রাজনীতি ও গণমাধ্যমে গুরুত্বপূর্ন আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে।