এশিয়ান পোস্ট ডেস্কঃ
সাবেক সিটি মিনিস্টার এবং হাম্পস্টেড অ্যান্ড হাইগেটের এমপি টিউলিপ সিদ্দিকির বিরুদ্ধে বাংলাদেশে প্লট বরাদ্দ দুর্নীতির মামলায় রায় আগামী ১ ডিসেম্বর ঘোষণা করা হবে। মামলায় সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা ও আরও কয়েকজনকে আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
ব্রিটিশ আইনজীবীদের মতে, এই মামলা ‘পরিকল্পিত এবং অন্যায্য’। অভিযোগটি নিয়ে দেশটির সাবেক বিচারমন্ত্রী রবার্ট বাকল্যান্ড কেসি, সাবেক টরি অ্যাটর্নি জেনারেল ডমিনিক গ্রিভি, চেরি ব্লেয়ার কেসি, ফিলিপ সেন্ড কেসি ও জিওফ্রে রবার্টসন কেসি রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলামের কাছে চিঠি লিখেছেন। তারা অভিযোগ করেছেন যে টিউলিপ তার আইনি অধিকার ভোগ করতে পারেননি।
আইনজীবীরা উল্লেখ করেছেন, টিউলিপকে তার বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগের তথ্য জানানো হয়নি এবং কোনো আইনজীবী দিয়ে প্রতিরক্ষা করার সুযোগও দেওয়া হয়নি। তারা আরও জানিয়েছেন, টিউলিপ যে আইনজীবীকে নিয়োগ করেছিলেন তাকে গৃহবন্দি করা হয়েছে এবং তার মেয়ে হুমকির মুখে পড়েছে।
মামলার প্রেক্ষাপটে গত জানুয়ারিতে টিউলিপকে তার সিটি মিনিস্টারের পদ থেকে সরে যেতে হয়েছে। তিনি দাবি করেন, সরকারের মনোযোগ বিঘ্নিত হওয়ায় তিনি পদত্যাগ করেছেন। তবে মামলার অভিযোগে বলা হচ্ছে, টিউলিপ তার মায়ের জন্য পূর্বাচলে প্লট বরাদ্দ করেছেন। টিউলিপ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এই আইনজীবীরা জানিয়েছেন যে, টিউলিপ যুক্তরাজ্যে বসবাস করেন এবং যুক্তরাজ্যের নাগরিক। তিনি কোনো পলাতক আসামি নন এবং যুক্তরাজ্যে নির্বাচিত এমপি। তবে, যদি বাংলাদেশে শক্তিশালী প্রমাণ থাকে, তাকে প্রত্যার্পণ করা যেতে পারে।
দুর্নীতির অভিযোগ উঠার পর টিউলিপকে নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। এরপর তিনি সিটি মিনিস্টারের পদ থেকে সরে দাঁড়ান। আইনজীবীরা সতর্ক করেছেন যে, এই মামলা তার অধিকার ও ন্যায্য বিচার নিশ্চিত করে না এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার নীতি লঙ্ঘন করছে।
বাংলাদেশের বিচার বিভাগ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এখন এ মামলার রায় নজরদারি করছে। টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলার ফলাফল রাজনৈতিকভাবে দেশের বিভিন্ন মহলে প্রভাব ফেলতে পারে।