রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:৩৯ অপরাহ্ন
নোটিশ :
Eid Bazar ! Eid Bazar ! Held on 30th March Saturday @ Paterson Firemanhall, Adress 226 Walnut ST, Paterson, NJ 07522 /  9th International Women's Day Award Held on April 27, 2024 @ The Brownston, 251 West Broadway, Paterson, NJ .7522 Ticket 70 Dollar Per Person Get Tickets From www.eventbrite.com

১০ লাখ ডলার বিনিয়োগে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ‘গোল্ড কার্ড’ ভিসা

রিপোর্টার / ২৭ বার
আপডেটের সময় : রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:৩৯ অপরাহ্ন

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

গোল্ড কার্ড নামে নতুন একটি ভিসা চালুর দ্বারপ্রান্তে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করতে সক্ষম ধনী ব্যক্তিদের জন্য বিশেষভাবে পরিকল্পিত এই ভিসা ইতোমধ্যে আলোচনায় এসেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ও অভিবাসন সেবা (ইউএসসিআইএস) গোল্ড কার্ডের জন্য প্রয়োজনীয় ফরম আই-১৪০জি এর খসড়া বাজেট ও ব্যবস্থাপনা অফিসে দাখিল করেছে। অনুমোদন মিললে আগামী ১৮ ডিসেম্বর থেকেই নতুন ভিসার কার্যক্রম শুরু হতে পারে। নতুন ভিসাটি ট্রাম্প গোল্ড কার্ড নামেও পরিচিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এই গোল্ড কার্ড ভিসা শুধুমাত্র তাদের জন্য, যারা যুক্তরাষ্ট্রকে ‘উল্লেখযোগ্য সুবিধা’ দিতে পারবেন। আবেদনকারীদের দিতে হবে অফেরতযোগ্য আবেদন ফি এবং সময়মতো সব কাগজপত্র জমা দিতে হবে। ভিসা অনুমোদনের পর আবেদনকারীদের যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়ে দিতে হবে কমপক্ষে ১০ লাখ ডলার বিনিয়োগ বা গিফট হিসেবে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ১২ কোটি ২৬ লাখ টাকার বেশি। ট্রাম্প প্রশাসন বলেছে, এই বিনিয়োগের মাধ্যমে আবেদনকারী প্রমাণ করবেন যে তার উপস্থিতি বা কার্যক্রম যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি ও সামগ্রিক স্বার্থে উপকারী হবে। ভিসার অনুমোদন পেলে আবেদনকারী যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ পাবেন। তবে জাতীয় নিরাপত্তা বা কারও ব্যাকগ্রাউন্ডে গুরুতর ঝুঁকি থাকলে আবেদন বাতিল করা হবে।

ব্যক্তি হিসেবে যেখানে ১০ লাখ ডলার বিনিয়োগের প্রয়োজন, কর্পোরেট-স্পন্সর আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে সেই পরিমাণ হবে ২০ লাখ ডলার। এছাড়া আবেদন জমা দেওয়ার জন্য দিতে হবে ১৫ হাজার ডলার, যা সম্পূর্ণ অফেরতযোগ্য।

আবেদন করতে হবে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে। আবেদন ফি প্রদান করতে হবে পে.গভ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে। আবেদনকারীদের আয়ের উৎস বৈধ তা প্রমাণ করতে হবে এবং কঠোর যাচাই–বাছাইয়ের মুখোমুখি হতে হবে। যাচাইয়ের মধ্যে থাকবে— অপরাধমূলক ইতিহাস, অর্থ পাচার বা অবৈধ লেনদেনের বিষয়ে তদন্ত, জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকি, আয়করের নথি, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, এমনকি ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পদের বিবরণও।

অনুমোদন পাওয়া গেলে আবেদনকারীদের বিদেশে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসে সাক্ষাৎকার দিতে হবে এবং সেখান থেকেই স্থায়ী বসবাসের প্রক্রিয়া শুরু হবে। তবে যারা ইতোমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে অবস্থান করছেন, তাদের ক্ষেত্রে অবস্থান পরিবর্তনের অনুমতি দেওয়া হতে পারে। তবে সেই নিয়মগুলো এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

 

সূত্র: এনডিটিভি


এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর