আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
রুশ বাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর তেরনোপিলের আবাসিক এলাকায় এক রাতে অন্তত ২৫ জন নিহত এবং ৭৭ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৩ শিশু রয়েছে, আর আহতদের মধ্যে ১৫ জন শিশু রয়েছে।
গত মঙ্গলবার রাতে তেরনোপিল শহরের আবাসিক এলাকা লক্ষ্য করে রুশ বাহিনী হামলা চালায়। তেরনোপিল পোল্যান্ডের সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থিত একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর। ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের বরাতে মার্কিন বার্তাসংস্থা এপি জানিয়েছে, একই রাতে তেরনোপিল ছাড়াও লভিভ ও খারকিভ শহরে ৪৮৩টি ড্রোন এবং ৪৮টি পাল্লারি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে রাশিয়া।
তবে ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রায় ৪৪২টি ড্রোন ও ৪২টি ক্ষেপণাস্ত্র আটকাতে সক্ষম হলেও কিছু ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে। ছয়টি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাতের ফলে তেরনোপিলে হতাহতের ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে ১৯ জন জীবন্ত পুড়ে মারা গেছেন এবং তাদের মধ্যে তিন শিশু রয়েছেন। নিহত শিশুদের বয়স ৫, ৭ ও ১৬ বছর।
হামলার পর তেরনোপিলের বিভিন্ন এলাকায় ইউক্রেনের জাতীয় জরুরি অবস্থা পরিষেবা বাহিনীর ৪৫টি ইউনিটের ১৬০ জন সদস্য উদ্ধার অভিযান শুরু করেন। তারা বিভিন্ন ধ্বংসস্তূপ থেকে ৪৫ জন নিহত ও আহতকে উদ্ধার করতে সক্ষম হন।
এই হামলার পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে বলেন, “রুশ বাহিনীর প্রতিটি নির্লজ্জ হামলা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে রাশিয়ার ওপর বৈশ্বিক চাপ এখনও যথেষ্ট কার্যকর হচ্ছে না।”
তৈরি রাখা হয়েছে যে, এই হামলার ফলে ইউক্রেনের বেসামরিক মানুষজনের জীবনে ঝুঁকি ও ভীতির মাত্রা আরও বেড়ে গেছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জোরদার হয়েছে।
সূত্র : এএফপি, এপি, আনাদোলু এজেন্সি