আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডকে “খুবই উদ্বেগজনক” বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের প্রধান বিরোধীদল কংগ্রেসের জ্যেষ্ঠ নেতা শশী থারুর। তিনি বলেন, এই রায় তাকে আতঙ্কিত করেছে এবং এটি একটি নেতিবাচক ঘটনা।
গত ১৭ নভেম্বর ঢাকার একটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল অনুপস্থিতিতে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। ২০২৪ সালের আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর ক্ষমতাচ্যুত হয়ে শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেন।
শশী থারুর সাংবাদিকদের বলেন, “আমি দেশের ভেতরে হোক বা বাইরে — মৃত্যুদণ্ডের পক্ষে নই। এটি আমাকে বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন করেছে। অন্য দেশের বিচার ব্যবস্থার বিষয়ে মন্তব্য করা ঠিক নয়, তবে এটিকে ইতিবাচক ঘটনা মনে করা যায় না।”
এর আগে একই মামলায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন দোষ স্বীকার করে রাজসাক্ষী হওয়ায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড পেয়েছেন। পাশাপাশি, হাসিনা ও কামালের সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং এসব সম্পদ ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে বিতরণ করা হবে।
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ভারতকে শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের জন্য দুইবার অনুরোধ জানানো হয়েছে। তবে ভারত এখন পর্যন্ত সাড়া দেয়নি। যদিও দুই দেশের মধ্যে অপরাধীদের প্রত্যর্পণ চুক্তি রয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় ভারতকে জটিল পরিস্থিতিতে ফেলেছে। কারণ, তারা যদি তাকে ফেরত পাঠাতে অস্বীকৃতি জানায়, তাহলে বাংলাদেশ এটিকে কূটনৈতিক অবজ্ঞা হিসেবে গ্রহণ করবে, যা দুই দেশের সম্পর্ক আরও অবনতি করতে পারে।
তবে ক্ষমতাসীন অবস্থায় শেখ হাসিনা ভারতের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন এবং ভারতের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোও তাকে ফেরত পাঠাতে আগ্রহী নয়।
এই পরিস্থিতি ভারতকে এখন বেকায়দায় ফেলেছে এবং দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ভবিষ্যত অনিশ্চিত করে তুলেছে।