অনলাইন ডেস্ক
ফিলিপিন সাগরে উদ্ভূত শক্তিশালী টাইফুন কালমেগির আঘাতে ফিলিপাইনে কমপক্ষে ১০০ জন নিহত এবং ২৬ জন নিখোঁজ রয়েছেন। আয়ারল্যান্ডভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আরটিই এর এক প্রতিবেদনে স্থানীয় প্রশাসনের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
গত মঙ্গলবার ফিলিপিন সাগর থেকে ফিলিপাইনের কেবু প্রদেশের উপকূলে আছড়ে পড়ে এই ঝড়টি। প্রদেশটিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কেবু প্রদেশের মুখপাত্র রন রামোস জানান, প্রদেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে এখনও পর্যন্ত ৮৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া কেবুর সংলগ্ন অন্যান্য প্রদেশ থেকে ১৭ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ফিলিপাইনের জাতীয় বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগের উপ-প্রশাসক রাফায়েলিতো আলেজান্দ্রো।
আলেজান্দ্রো আরও বলেন, “এখনও ২৬ জন নিখোঁজ রয়েছেন, তাই নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে।” বন্যার কারণে কেবুর বড় শহরগুলো এবং নগরায়িত এলাকাগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে।
ঝড় আঘাত হানার আগের ২৪ ঘণ্টায় কেবু প্রদেশ ও আশপাশের অঞ্চলে ব্যাপক ভারী বৃষ্টি হয়েছে। প্রাদেশিক আবহাওয়া দপ্তরের কর্মকর্তা চারমাগ্নে ভারিলা জানান, কেবু শহরে ১৮৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
ভারী বৃষ্টির ফলে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে এবং প্রদেশজুড়ে ব্যাপক বন্যা দেখা দিয়েছে। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “বন্যার কারণে কোথাও দাঁড়ানোর সুযোগ ছিল না, অনেক বাড়ি-দোকান ভেসে গেছে।”
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, এই ঝড়ের কারণে প্রায় চার লাখ মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বাধ্য হয়েছে।
কেবু প্রদেশের গভর্নর পামেলা ব্যারিকুয়াত্রো এই পরিস্থিতিকে ‘নজিরবিহীন’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন এবং বলেন, “ঝড়ের চেয়ে বন্যা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
ভৌগলিক অবস্থানের কারণে ফিলিপাইনে ভারী বর্ষণ, মৌসুমি ঝড় এবং টাইফুন প্রায় নিয়মিত দুর্যোগ। প্রতিবছর গড়ে প্রায় ২০টি টাইফুন ও ঝড় হয় দেশটিতে। গত সেপ্টেম্বরে ফিলিপাইনের ওপর দিয়ে দুটি টাইফুন বয়ে গেছে, যার মধ্যে একটি ছিল সুপার টাইফুন রাগাসা।