আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
টোকিও, ২৯ অক্টোবর ২০২৫: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, গত মে মাসে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে আকস্মিক সামরিক সংঘাতের সময় একেবারে নতুন সাতটি বিমান ধ্বংস হয়েছিল। তবে তার হস্তক্ষেপের কারণে মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সংঘাত থেমে যায়।
মঙ্গলবার জাপানের রাজধানী টোকিওতে ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে এক নৈশভোজে বক্তৃতা দিতে গিয়ে ট্রাম্প বলেন, “একেবারে নতুন এবং সুন্দর সাতটি বিমান ভূপাতিত হয়েছিল। সত্যিই বিস্ময়কর।” তিনি একই বিষয় কয়েকবার পুনরায় উল্লেখ করেন।
সৌদি সংবাদমাধ্যম আরব নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প যুদ্ধ ঠেকানোর প্রসঙ্গে ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের উদাহরণ দেন। তিনি বলেন, “আপনি যদি ভারত ও পাকিস্তানকে দেখেন, তারা তখন মুখোমুখি অবস্থায় ছিল। আমি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফকে বলেছিলাম—তারা অত্যন্ত ভদ্র এবং ভালো মানুষ।”
ট্রাম্প আরও জানান, পাকিস্তানের ফিল্ড মার্শাল অসীম মুনিরকে তিনি সরাসরি সতর্ক করেছিলেন। তিনি বলেন, “দেখুন, যদি যুদ্ধ করেন, আমরা কোনও বাণিজ্য করব না। আমাদের হুমকি মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই কার্যকর হয়ে যুদ্ধ বন্ধ হয়ে যায়। এটি সত্যিই বিস্ময়কর।”
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বক্তব্য থেকে বোঝা যায়, কূটনৈতিক হস্তক্ষেপ ও সরাসরি যোগাযোগ কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। দুই শক্তিধর দেশের মধ্যে যে আকস্মিক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল, তা মাত্র এক দিনের মধ্যে শান্ত করা সম্ভব হয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের এ মন্তব্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ট্রাম্পের সরাসরি হস্তক্ষেপ যুদ্ধ প্রতিরোধে একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল ছিল। যদিও একে কেন্দ্র করে সমালোচনা ও বিতর্কও রয়েছে।
সংঘাতের সময় সাতটি নতুন বিমান ধ্বংস হওয়ার তথ্য আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে গুরুত্ব পেয়েছে। এতে ইঙ্গিত করা হচ্ছে, সামরিক সংঘাতের সম্ভাব্য ক্ষতি কতটা ভয়াবহ হতে পারত, যদি সময়মতো হস্তক্ষেপ না করা যেত। ট্রাম্পের দাবি অনুযায়ী, তার তৎকালীন পদক্ষেপই পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে সহায়তা করেছে।
এদিকে, ভারত ও পাকিস্তান সরকার এই ঘটনার বিষয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য করেনি। তবে দুই দেশের মধ্যস্থতায় চলমান কূটনৈতিক আলোচনায় ট্রাম্পের হস্তক্ষেপকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে বিশ্লেষকরা।
.এশিয়ানপোস্ট /এফআরজে