আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
ইসরায়েলের ভূখন্ডে হামাসের হামলার দ্বিতীয় বছর পূর্ণ হলো আজ ৭ অক্টোবর। ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় আটক ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির দাবিতে মঙ্গলবার ইসরায়েলের বাণিজ্যিক রাজধানী তেল আবিবে কয়েকজন মন্ত্রী ও এমপির বাড়ির সামনে বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশ করেছেন জিম্মিদের পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা।
অন্দোলনকারীরা ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সরকার গাজায় আটকে থাকা জিম্মিদের কথা ‘ভুলে গেছে’। সরকারকে তা স্মরণ করাতে এ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। এদিকে তেল আবিবসহ বিভিন্ন শহরে নিহতদের স্মরণ করা হচ্ছে; ছবি পোস্টার আকারে টানিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হচ্ছে।
গাজায় আটকে থাকা জিম্মিদের মুক্তি ও যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি নতুন পরিকল্পনা উপস্থাপন করেছেন। মিসরের পর্যটন শহর শারম আল শেখে ইসরায়েল, হামাস এবং যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতারের প্রতিনিধি বৈঠক শুরু করেছেন।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্তে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালায়। ১,২০০ জন নিহত ও ২৫১ জন জিম্মি হয়। এরপর ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অনুযায়ী অভিযানে ৬৭,১৬০ জন ফিলিস্তিনি নিহত ও ১,৬৯,৬৭৯ জন আহত হয়েছে।
সামরিক অভিযানের পাশাপাশি ত্রাণ সরবরাহ সীমিত রাখায় গাজায় মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী খাদ্যের অভাবে দুই বছরে ২০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি শিশু মারা গেছে।
গাজার সামরিক অভিযানে হামাসের শীর্ষ নেতা ও কমান্ডারদের হত্যা করা হয়েছে। প্রতিবেশী লেবাননে হিজবুল্লাহ-এর ওপরও বিমান অভিযান চালানো হয়েছে। আন্তর্জাতিক চাপ সত্ত্বেও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু সামরিক অভিযান অব্যাহত রেখেছেন।
এশিয়ানপোস্ট / এফআরজে