আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
‘হিংসাত্মক’ কথা বলার অভিযোগে কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রোর ভিসা বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে গিয়েছিলেন তিনি।
নিউইয়র্কে স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) একটি ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভে যোগ গুস্তাভো পেত্রো। সেখান গিয়ে তিনি মার্কিন সেনাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, তারা যেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আদেশ উপেক্ষা করেন এবং মানবতার দিতে তাদের বন্দুক তাক না করেন।
তিনি তার এক্স অ্যাকাউন্টে এ বক্তব্যের একটি ভিডিও প্রকাশ করেন। এরপরই মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার ভিসা বাতিল করার ঘোষণা দেয়। তবে কলম্বিয়ার সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগেই প্রেসিডেন্ট পেত্রো বিমানে দেশের পথে ছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে বলেছে, “শুক্রবার কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট নিউইয়র্ক সিটির একটি শহরে দাঁড়িয়ে মার্কিন সেনাদের আদেশ অমান্য করার আহ্বান ও সহিংসতায় উস্কানি দেন। এমন উস্কানিমূলক কাজের জন্য আমরা প্রেসিডেন্ট পেত্রোর ভিসা বাতিল করব।”
কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট তার এক্স অ্যাকাউন্টে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন। এতে দেখা যাচ্ছে স্প্যানিশ ভাষায় কথা বলছেন তিনি। ওই সময় তার বক্তব্য ইংরেজিতে বলে দিচ্ছিলেন আরেকজন। ফিলিস্তিনপন্থি ওই বিক্ষোভে প্রেসিডেন্ট পেত্রো বলেন, “বিশ্বের সব জাতির উদ্দেশ্যে বলছি এমন সেনাবাহিনী গঠনে ভূমিকা রাখুন যা যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে বড় হবে। আমি নিউইয়র্কের এই জায়গা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সব সেনাদের উদ্দেশ্যে বলছি মানবতার দিকে রাইফেল তাক করবেন না। ট্রাম্পের আদেশ অমান্য করুন! মানবতার আদেশ মান্য করুন।”
জাতিসংঘে বক্তব্য দেওয়ার সময় ট্রাম্প প্রশাসনের ব্যাপক সমালোচনা করেন কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট। তিনি অভিযোগ করেন, যুক্তরাষ্ট্র মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর নামে বোমা হামলা চালিয়ে তরুণদের হত্যা করেছে। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
এশিয়ানপোস্ট / আরজে