আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
ইসরায়েলের হামলার ব্যাপারে কাতারকে আগেই সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট।
মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এ হামলার ব্যাপারে আগেই জানিয়েছিলেন। শান্তি স্থাপনের ইচ্ছার কথা জানালেও হামলার পরিকল্পনার বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রকে অবগত করেছিলেন তিনি। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও তাৎক্ষণিকভাবে স্টিফ উইটকফের মাধ্যমে দোহাকে সতর্ক করেছিলেন।
পরে কাতারে অবস্থিত মার্কিন সেনাঘাঁটি থেকেও সতর্কবার্তা পাঠানো হয়। হামলার পর কাতারি নেতাদের টেলিফোন করে আশ্বস্ত করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ভবিষ্যতে কাতারের ভূখণ্ডে এ ধরনের হামলা আর ঘটবে না।
মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মিত্র কাতার। দেশটিতে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধাবসানে মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিসর অন্যতম।
গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য সম্প্রতি একটি খসড়া প্রস্তাব হামাসের কাছে পাঠান ট্রাম্প। মঙ্গলবার দোহার একটি ভবনে হামাসের শীর্ষ নেতা খলিল আল হায়াসহ হাইকমান্ড প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করছিলেন। এর মধ্যেই ইসরায়েলি বিমানবাহিনী ওই ভবনে হামলা চালায়।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানায়, হামাসের নেতা খলিল আল হায়া ও জাহের জাবারিনকে হত্যার উদ্দেশ্যে এ হামলা চালানো হয়েছিল। তবে লক্ষ্য সফল হয়নি। এতে অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে পাঁচজন হামাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।
এক বিবৃতিতে হামাস জানায়, নিহতদের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের কোনো নেতা নেই। এদিকে ক্যারোলিন লিভিট বলেন, হামাসকে নিশ্চিহ্ন করা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের কাছে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হলেও দোহায় এ হামলা সেই লক্ষ্য পূরণে সহায়ক হবে না। সূত্র : এএফপি
এশিয়ানপোস্ট/আরজে