রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ১২:২২ পূর্বাহ্ন
নোটিশ :
Eid Bazar ! Eid Bazar ! Held on 30th March Saturday @ Paterson Firemanhall, Adress 226 Walnut ST, Paterson, NJ 07522 /  9th International Women's Day Award Held on April 27, 2024 @ The Brownston, 251 West Broadway, Paterson, NJ .7522 Ticket 70 Dollar Per Person Get Tickets From www.eventbrite.com

ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ কী প্রভাব ফেলবে যুক্তরাষ্ট্রে?

রাজু / ৮ বার
আপডেটের সময় : রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ১২:২২ পূর্বাহ্ন
ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ কী প্রভাব ফেলবে যুক্তরাষ্ট্রে?

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বড় রাজনৈতিক জয় পেলেন বলাই যেতে পারে। দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ পাস করানোর ব্যাপারে সিনেটরদের ওপর চাপ দিচ্ছিলেন তিনি। ৪ জুলাইয়ের মধ্যে বিলটি পাস করাতে চাইছিলেন তিনি। শেষপর্যন্ত সেই লক্ষ্য পূরণ হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের। কিন্তু নতুন এই বিতর্কিত বিল নিয়ে তার নিজের দলের মধ্যেই প্রশ্ন আছে।

 

জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক বিশ্লেষক পিটার লোগ বলেছেন, “একটি বড় অংশের মানুষ এই বিলের বিরোধিতা করছেন কারণ, নতুন আইনে আমেরিকানদের চিকিৎসা এবং সামাজিক নিরাপত্তার ওপর সরকারের যে ব্যয় ছিল তা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।”

 

দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হওয়ার লড়াইয়ে নেমে নির্বাচনী প্রচারে বার বার এই বিলের কথা বলেছেন ট্রাম্প। তিনি জানিয়েছেন, ক্ষমতায় এলেই তিনি এই বিল বাস্তবায়িত করবেন। অবশেষে তা সম্ভব হলো।

স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তা খাতে ব্যয় সংকোচ করার পাশাপাশি এই বিলে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী এবং অভিবাবসনপ্রত্যাশীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করার অধিকার দেওয়া হয়েছে। জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানোর ব্যাপারেও এই বিলে বিপুল অর্থ ধার্য করা হয়েছে। পাশাপাশি সামরিক খাতে ব্যয় বাড়ানোর কথাও বলা হয়েছে এই বিলে।

সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমলে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এই বিলে সেই সিদ্ধান্তগুলোকে রদ করে দেওয়া হচ্ছে। অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধের যে প্রকল্প ট্রাম্প গ্রহণ করেছেন, তাতে ব্যয় করা হবে ১৭৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। মেক্সিকোয় সীমান্ত প্রাচীর তৈরিতেও এই অর্থ খরচ হবে বলে জানানো হয়েছে।

সীমান্তে পুলিশের সংখ্যা বাড়ানো হবে বলেও জানিয়েছেন ট্রাম্প। সামরিক খাতে ব্যয় করা হবে ১৫৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে মিসাইল এবং যুদ্ধ জাহাজ তৈরিতে। পরমাণু অস্ত্র তৈরিতেও বেশ কিছু অর্থ ব্যয় করা হবে বলে জানা গেছে।

তবে পরিবেশবিদেরা সবচেয়ে বেশি চিন্তিত জীবাশ্ম জ্বালানি নিয়ে। প্রচারে ট্রাম্প একটি কথা বার বার বলেছেন, ‘ড্রিল বেবি ড্রিল’। অর্থাৎ, নতুন করে খনিজ তেল উত্তোলন শুরু করতে হবে। এই বিলে সেই খাতে ব্যয় ধার্য করা হয়েছে।

তোলা হবে প্রাকৃতিক গ্যাসও। এর আগে বিকল্প শক্তির জন্য সরকার যে অর্থ ব্যয় করেছিল, তা বদলে দেওয়ার নীতি নিয়েছেন ট্রাম্প। ইলেকট্রিক গাড়িতে ছাড় বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।

ট্রাম্পের একসময়ের বন্ধু ইলন মাস্ক থেকে রিপাবলিকান দলের একাধিক সদস্য এই বিলের বিরোধিতা করছেন। তাদের অভিযোগ, ট্রাম্প মার্কিন অর্থনীতিকে খাদের ধারে নিয়ে গিয়ে দাঁড় করাচ্ছেন। এর ফলে যে কোনো সময় বিপর্যয় ঘটতে পারে।

 

পাশাপাশি যেভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়গুলোকে উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, তা নিয়েও বহু বিশেষজ্ঞ আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। ট্রাম্পের অভিবাসন নীতি নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে দেশের ভেতর।

এশিয়ান পোস্ট/ আরজে

 


এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর