আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রায় বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) সকাল ১১টা ৫৬ মিনিটে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। কম্পনের উৎপত্তি নানগ্রো আচেহ দারুসালাম প্রদেশ থেকে ৬৩ কিলোমিটার দূরে ঘটে এবং মাটির মাত্র ১৪ কিলোমিটার গভীরে অবস্থান করেছিল।
স্থানীয়রা জানান, কম্পনটি আশপাশের এলাকায় ব্যাপকভাবে অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্পের সময়ে অনেক মানুষ আতঙ্কিত হয়ে বাইরে বের হন। ভূমিকম্পবিষয়ক ওয়েবসাইট ভলকানো ডিসকভারি জানিয়েছে, ইউরোপীয়-ভূমধ্যসাগরীয় সিসমোলজিক্যাল সেন্টার (ইএমএসসি) ও জার্মানি ভূবিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র (জিএফজেড) এর প্রাথমিক রিপোর্টে কম্পনের মাত্রা ৬ দশমিক ২ উল্লেখ করেছে। তবে প্রাথমিকভাবে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্প হিসেবে প্রকাশ করা হয়েছিল।
আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের কারণে সরাসরি বড় ধরনের প্রাণহানি বা ব্যাপক ধ্বংসের সম্ভাবনা কম। তবে জিনিসপত্র পড়ে যাওয়া, জানালা ভাঙা, কাঁচ ও ফার্নিচার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া এবং স্থানীয়ভাবে অল্প ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। স্থানীয় জরুরি সেবা ও উদ্ধারকর্মীরা ইতোমধ্যেই মাঠে নামে এবং ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ করছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সুমাত্রার ভূমিকম্পটি গভীর না হওয়ায় তীব্রতা মূলত স্থানীয় স্থাপনা ও মানুষজনের মধ্যে বেশি অনুভূত হয়েছে। তবে ভূমিকম্পের প্রভাবে কোনো বড় ভাসমান ভূমিকম্প-সৃষ্ট সুনামির সতর্কতা জারি হয়নি।
এর আগে গত শুক্রবার ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ৫ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। কম্পনের মাত্রা এতটাই বেশি ছিল যে মানুষ আতঙ্কিত হয়ে রাস্তায় নেমে আসে এবং বহু বহুতল ভবন থেকে দ্রুত নিচে নামতে দেখা যায়। ওই ভূমিকম্পে নরসিংদীতে অন্তত ১০ জন নিহত হন এবং কয়েকশ মানুষ আহত হন। স্থানীয় প্রশাসন দ্রুত উদ্ধার ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে।
ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, এই অঞ্চলে ভূমিকম্পের পরবর্তী পর্বও সম্ভাব্য। তাই স্থানীয় জনগণকে সজাগ থাকতে বলা হয়েছে এবং জরুরি সেবার সঙ্গে যোগাযোগ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়া ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা হিসেবে পরিচিত। সুমাত্রা দ্বীপ ও আশেপাশের সমুদ্রতট প্রায়ই ভূমিকম্পের কবলে পড়ে। ফলে ভূমিকম্পের আগেই স্থানীয় মানুষ ও কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন প্রস্তুতি গ্রহণ করে।