আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। একই সঙ্গে তার তিন বোন অভিযোগ করেছেন, তারা ভাইয়ের সঙ্গে কারাগারে সাক্ষাতের দাবিতে গেলে পুলিশের হাতে নৃশংস মারধরের শিকার হয়েছেন।
ইমরান খানের বোন নরীন খান, আলীমা খান ও উজমা খান জানিয়েছেন, রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বাইরে তারা সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার অনুমতি চেয়েছিলেন। এ সময় তাদের ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থকদের ওপর পুলিশ হামলা চালায়।
২০২৩ সালের আগস্ট থেকে ইমরান খান আদিয়ালা কারাগারে বন্দি আছেন। গত তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে তার সঙ্গে সাক্ষাত দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন তার বোনরা। পিটিআই জানিয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার দাবি তোলা ছাড়া আর কিছুই তাদের অপরাধ ছিল না। পুলিশের হামলায় নৃশংসভাবে মারধরের শিকার হন তিন বোন এবং সমর্থকরা।
নরীন খান পাঞ্জাব পুলিশের প্রধান উসমান আনোয়ারকে লেখা চিঠিতে বলেন, পুলিশ বিনা উসকানিতে নৃশংস ও পরিকল্পিত হামলা চালিয়েছে। তিনি জানান, শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করার সময় তাদের রাস্তা অবরোধ বা জনসাধারণের চলাচলে বাধা দেওয়ার কোনো কারণ ছিল না। তবুও পুলিশ স্ট্রিটলাইট বন্ধ করে দিয়ে হামলা চালায়। নরীন খান জানান, ৭১ বছর বয়সে তাকে চুল ধরে টেনে মাটিতে ফেলে মারধর করা হয়। অন্যান্য নারীকেও টেনে হিঁচড়ে নেওয়া হয়।
একাধিক মামলায় অভিযুক্ত পিটিআই প্রধান ইমরান খান ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে কারাগারে রয়েছেন। গত এক মাস ধরে তার সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য সরকারি অনানুষ্ঠানিক নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তার মৃত্যুর ভুয়া খবর ছড়িয়েছে।
পিটিআই অভিযোগ করে, ইমরান খানের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ, বই ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের সুবিধা এবং আইনজীবীদের সঙ্গে দেখা বন্ধ করা হয়েছে। তার আইনজীবী খালিদ ইউসুফ চৌধুরী বলেন, “এখানে জঙ্গলের শাসন চলে; যে জন্তুকে শাসন করে, কেবল তারই অধিকার আছে। অন্য কারও কোনও অধিকার নেই।”
এছাড়া খাইবার–পাখতুনখোয়ার মুখ্যমন্ত্রী সোহেল আফ্রিদিকেও ইমরান খানের সঙ্গে সাক্ষাত দেওয়া হয়নি। সাতবার কারাগারে গিয়ে সাক্ষাতের চেষ্টা হলেও তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। পাকিস্তানের কারা কর্তৃপক্ষ একজন সেনা কর্মকর্তার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।