আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
বেলজিয়াম ইসরায়েলের উদ্দেশে একটি অস্ত্র চালান প্রায় এক মাস ধরে আটকে রেখেছে। সরকারি সূত্রে জানা গেছে, বেলজিয়ামের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ ওয়ালোনিয়ার প্রাদেশিক সরকার এই চালান আটকে রেখেছে। চালানে রয়েছে সেনাবাহিনীর ব্যবহারের জন্য রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি সংশ্লিষ্ট যন্ত্রাংশ ও অ্যান্টেনা।
সুইজারল্যান্ডের জুরিখ বিমানবন্দর থেকে ৯ অক্টোবর একটি কার্গো বিমান এই যন্ত্রাংশ ও অ্যান্টেনা নিয়ে বেলজিয়ামের ওয়ালোনিয়ার লেইজ বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা দেয়। এসব সামরিক সরঞ্জাম সুইস কোম্পানি সুইসটো ১২ তৈরি করেছে। লেইজে যাত্রাবিরতি শেষে বিমানটি ইসরায়েলের বাণিজ্যিক রাজধানী তেল আবিবের উদ্দেশে যাত্রা করবে বলে পরিকল্পনা ছিল।
বেলজিয়ান বার্তাসংস্থা বেলগা নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লেইজ বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বিমানটির ছাড়পত্র দেয়নি। প্রাদেশিক সরকার জানিয়েছে, তারা নিশ্চিত হয়েছে এসব মালপত্র সামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হবে। আইন অনুসারে বিমান চালক ও ক্রুদের সুইজারল্যান্ড সরকারের রপ্তানি লাইসেন্স এবং ওয়ালোনিয়ার ট্রানজিট লাইসেন্স দেখাতে বলা হয়েছিল, যা তারা দিতে পারেনি।
ওয়ালোনিয়ার মুখ্যমন্ত্রী অ্যাড্রিয়েন ডলিমন্ট বলেছেন, “মধ্যপ্রাচ্যের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আমরা ইসরায়েলের উদ্দেশ্যে অস্ত্র চালান ছাড়পত্র দেওয়া নিয়ে সতর্ক অবস্থানে আছি।”
এই পদক্ষেপের পেছনে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। গত অক্টোবরে ফ্রান্স ও সৌদি আরব জাতিসংঘে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার বৈশ্বিক সম্মেলন আয়োজন করে। বেলজিয়াম সহ কয়েকটি দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি প্রদান করেছে, যা ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের আলোকে বিবেচিত হচ্ছে।
বেলজিয়ামের এই পদক্ষেপ ইসরায়েলের সামরিক শক্তি জোরদারের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করল। সামরিক সরঞ্জাম ও অস্ত্র চালান আটকে রাখার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্য থেকে ইসরায়েলের প্রতি সমালোচনা বাড়ছে।
বেলজিয়ামের এই উদ্যোগ মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতায় প্রভাব ফেলতে পারে এবং অন্যান্য দেশকেও ইসরায়েলের সামরিক সহযোগিতা নিয়ে পুনর্বিবেচনায় বাধ্য করতে পারে।