অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক নগরের নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনের মেয়র সাদিক খান। সাদিক খান তার বিজয়কে ‘ঐতিহাসিক প্রচারণা’ এবং ‘ভয়ের বিপরীতে আশার জয়’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে সাদিক খান লিখেছেন, “নিউইয়র্কবাসীর সামনে আশা এবং ভয়ের মাঝে ছিল এক স্পষ্ট পছন্দ। আর যেমনটা আমরা লন্ডনে দেখেছি — আশাই জিতেছে।”
মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, মামদানির এই বিজয়ের ফলে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় দুই শহরে এখন নেতৃত্ব দিচ্ছেন দুই উদারপন্থী মুসলিম নেতা, যারা দুজনই অভিবাসী পরিবারের সন্তান। তারা এমন সময়ে উঠে এসেছেন যখন তাদের দেশগুলোর রাজনীতি ডানপন্থী ঝোঁক নিচ্ছে।
সাদিক খানের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টারা জানান, ডেমোক্র্যাটিক প্রাইমারিতে মামদানির বিজয়ের পর তিনি ব্যক্তিগতভাবে ফোন করে তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
যদিও দুজনের রাজনৈতিক ধরনে কিছু পার্থক্য রয়েছে; খান ব্রিটেনের লেবার পার্টির মধ্যপন্থী নেতা, আর মামদানি পরিচিত একজন প্রগতিশীল বাম রাজনীতিবিদ হিসেবে।
দুই নেতাই অতীতে ঘৃণার প্রচারণা ও ইসলামবিদ্বেষী হুমকির সম্মুখীন হয়েছেন। নির্বাচনী প্রচারণার শেষ সপ্তাহে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ৯/১১ হামলা সংশ্লিষ্ট ছবি ব্যবহার করে মামদানিকে হেয় করার চেষ্টা হয়। ২০১৬ সালে লন্ডনের মেয়র নির্বাচনের আগে সাদিক খানের প্রতিদ্বন্দ্বী তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ এনেছিলেন।
বিজয়ী ভাষণে মামদানি বলেছেন, তিনি “ইহুদিবিদ্বেষের অভিশাপের বিরুদ্ধে লড়বেন” এবং প্রমাণ করবেন নিউইয়র্ক এমন একটি শহর যেখানে মুসলমানরাও “জানেন এ শহর তাদেরও।”
তিনি আরও বলেন, “এখন নিউইয়র্ক আর এমন জায়গা হবে না, যেখানে ইসলামবিদ্বেষকে হাতিয়ার বানিয়ে কেউ নির্বাচনে জিততে পারে।”