অনলাইন ডেস্কঃ
গাজায় ত্রাণ সরবরাহে ২৪ ঘণ্টার জন্য স্থগিতাদেশ দেওয়ার পর তা প্রত্যাহার করেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রবিবার গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর একটি ট্যাংককে লক্ষ্য করে হামাসের যোদ্ধারা ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করলে দুই ইসরায়েলি সেনা নিহত হন। এই ঘটনার পর গাজায় খাদ্য ও ত্রাণ সরবরাহ স্থগিত করার নির্দেশ দেয় ইসরায়েল। একই দিনে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী বিমান অভিযান চালিয়ে নারী ও শিশুসহ ২৬ জনকে হত্যা করে।
ত্রাণ সরবরাহে স্থগিতাদেশ কার্যকর হওয়ার মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তা প্রত্যাহার করা হয়। আইডিএফ কর্মকর্তা জানান, গাজায় ত্রাণ পৌঁছানো অবরোধের মধ্যে আন্তর্জাতিক উদ্বেগ এবং মানবিক পরিস্থিতি বিবেচনায় তা পুনর্বহাল করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ বিষয়ে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, “আমার প্রস্তাবিত পরিকল্পনা অনুযায়ী গাজায় যে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে, তা এখনও কার্যকর আছে। সম্প্রতি ইসরায়েলি সেনাদের লক্ষ্য করে হামলার ঘটনাকে হামাসের সঙ্গে যুক্ত করা যাচ্ছে না। তবে পরিস্থিতি কঠোরভাবে মনিটর করতে হবে।”
যুক্তরাষ্ট্র থেকে ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিফ উইটকফ এবং জামাতা জ্যারেড কুশনার সোমবার ইসরায়েল সফরে গিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, যুদ্ধবিরতি বজায় রাখার জন্য হামাসকে নিশ্চয়তা দিতে হবে যে পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ হবে।
হামাসের সামরিক শাখা আল কাসাম ব্রিগেডও এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ১০ অক্টোবর থেকে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন হয়নি। তবে গাজায় কিছু হামাস গ্রুপ ইসরায়েলি সেনাদের লক্ষ্য করে হামলা চালাতে পারে। আল কাসাম ব্রিগেড জানিয়েছে, মার্চের পর থেকে তাদের কেন্দ্রীয় কমিটির সঙ্গে এই গ্রুপগুলোর যোগাযোগ নেই।
যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স জানিয়েছেন, হামাসের ৪০টিরও বেশি গ্রুপ গাজায় সক্রিয় রয়েছে। কিছু গ্রুপ যুদ্ধবিরতি মানলেও বেশিরভাগই এখনো তা মেনে নেনি। তিনি বলেন, “যদি হামাসকে অস্ত্রমুক্ত করতে চাই, তবে এই বিদ্রোহী গ্রুপগুলোর দিকে বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে।”
গাজায় ত্রাণ সরবরাহ পুনর্বহালের ফলে স্থানীয় মানুষদের মানবিক সাহায্য পুনরায় শুরু হয়েছে। তবে এই ঘটনায় উত্তেজনা এবং সংঘাতের ঝুঁকি এখনও বজায় রয়েছে।
এশিয়ানপোস্ট / আরজে