আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
এক সময় যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ‘বর্ণবাদী’ ও ‘বিশৃঙ্খলার উপকরণ’ বলে আখ্যা দিয়েছিল ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। কিন্তু মাত্র এক মাসের ব্যবধানে সেই গোষ্ঠী এখন ট্রাম্পের ওপর আস্থা রাখছে। তাদের ধারণা, যুদ্ধবিরতির পর ট্রাম্প ইসরায়েলকে নতুন করে যুদ্ধ শুরু করতে দেবেন না। শনিবার (১১ অক্টোবর) বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছে হামাসের ঘনিষ্ঠ দুটি সূত্র।
রয়টার্স জানায়, সম্প্রতি এক ফোন কলে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু কাতারের প্রধানমন্ত্রীকে দোহায় হামলার ঘটনায় ক্ষমা চান। সেই কথোপকথনের পর হামাস মনে করে, নেতানিয়াহুকে থামাতে ট্রাম্পের সক্ষমতা আছে। ট্রাম্প যুদ্ধ বন্ধে সত্যিই আন্তরিক—এই বিশ্বাস থেকেই গত বুধবার ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় হামাস। চুক্তিটি শুক্রবার থেকে কার্যকর হয়েছে।
চুক্তি অনুযায়ী, ইসরায়েলি সেনারা গাজা না ছাড়লেও হামাস সব জিম্মিকে মুক্তি দিতে রাজি হয়। হামাসের এক সূত্রের ভাষায়, “এটা আমাদের জন্য বড় ঝুঁকি, কিন্তু ট্রাম্পের ওপর বিশ্বাস রেখেই আমরা এগোচ্ছি।”
অন্য সূত্র জানায়, হামাস জানে যে ইসরায়েল প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করতে পারে—যেমনটা গত জানুয়ারির যুদ্ধবিরতিতেও ঘটেছিল। তবুও এবার তারা ট্রাম্প প্রশাসনের আশ্বাসে রাজি হয়েছে। আলোচনা চলাকালীন ট্রাম্প ব্যক্তিগতভাবে তিনবার ফোন করেন, উপস্থিত ছিলেন তার ঘনিষ্ঠ স্টিভ উইটকোফ ও জামাতা জার্ড কুশনার।
রয়টার্সের মতে, ট্রাম্পের ২০ দফার প্রস্তাবের সব বাস্তবায়ন না হলেও এই যুদ্ধবিরতি হয়তো স্থায়ী শান্তির পথ খুলে দিতে পারে। বিশেষ করে নেতানিয়াহুকে কাতারের কাছে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা ও ইরান-ইসরায়েলের ১২ দিনের যুদ্ধ থামাতে ভূমিকা রাখায় হামাসের আস্থা বেড়েছে যে, এবার ট্রাম্প ইসরায়েলকে নতুন যুদ্ধ শুরু করতে দেবেন না।
সূত্র: রয়টার্স