আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নতুন যে যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনা পেশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, তা ওই উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাস মেনে না নিলে ফলাফল ভয়াবহ হতে পারে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজে এই সতর্কবার্তা দিয়েছেন।
সোমবার স্থানীয় সময় দুপুরে ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউসে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক করেন ট্রাম্প। তারপর বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, ইসরায়েল, ইউরোপ এবং আরব অঞ্চলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে গাজায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত ২০টি পয়েন্ট সম্বলিত একটি প্রস্তাবের চূড়ান্ত অনুলিপি প্রস্তুত হয়েছে। সংবাদ সম্মেলন শেষ হওয়া কিছু সময়ের মধ্যেই সেটির লিখিত কপি হাতে এসে যাবে। এ সময় বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু তার পাশে ছিলেন।
ট্রাম্প বলেন, “আমাদের মিত্র এবং অংশীদারদের সঙ্গে বিস্তৃত আলোচনা আলোচনা শেষে আজ মঙ্গলবার আমি আনুষ্ঠানিকভাবে গাজায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত নতুন প্রস্তাব পেশ করছি; এবং আমি অবশ্যই বলব যে এই প্রস্তাব লোকজন ইতোমধ্যেই পছন্দ করেছে।”
প্রসঙ্গত, নতুন প্রস্তাবে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর সামরিক অভিযানের অবসানের পাশাপাশি যুদ্ধ পরবর্তী গাজার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে নিজের নাম প্রস্তাব করেছেন তিনি। পাশাপাশি হামাসকে অস্ত্র সমর্পণ করার শর্তও উল্লেখ করা হয়েছে প্রস্তাবে।
গতকাল ট্রাম্প গাজায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত নতুন প্রস্তাব পেশ করার পর যুক্তরাজ্য, ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্যের নেতারা এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় বিবিসিকে হামাস বলেছে, তারা কোনোভাবেই অস্ত্র সমর্থনের জন্য প্রস্তুত নয়। তাছাড়া প্রস্তাবের লিখিত কপি না আসা পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করা হবে না বলেও জানিয়েছে গোষ্ঠীটির হাইকমান্ড। সোমবারের বক্তৃতায় ট্রাম্প বলেন, হামাস যে এখনও সায় দেয়নি— সে ব্যাপারে তিনি অবগত।
“(হামাস ছাড়া) বাকি সবাই এ প্রস্তাব গ্রহণ করেছে; আর আমার মনে হচ্ছে যে (হামাসের তরফ থেকে) আমরা একটা ইতিবাচক সাড়া পাবো। যদি তা না ঘটে, (পাশে থাকা নেতানিয়াহুর দিকে তাকিয়ে) আপনি জানেন বিবি (নেতানিয়াহুর ডাক নাম) যে গাজায় আপনার কী করতে হবে এবং আপনি যা করতে চাইবেন— তাতে যুক্তরাষ্ট্রের সব ধরনের সমর্থন ও সহযোগিতা থাকবে।” সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি
এশিয়ানপোস্ট/ আরজে