নেপালের সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গঠনে সেনাবাহিনীর সঙ্গে আলোচনা করছে বিক্ষোভকারীরা। তবে এখনও নেতৃত্ব নিয়ে ঐকমত্য তৈরি হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পাওডেল এক বিবৃতিতে নাগরিকদের আশ্বস্ত করে বলেছেন, দেশের চলমান রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা থেকে উত্তরণের জন্য তিনি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
প্রেসিডেন্ট পাওডেল বলেন, সংবিধানের সীমার ভেতরে থেকে গণতন্ত্র রক্ষা, শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে। সমস্যার দ্রুত সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আন্দোলনকারীদের দাবি পূরণে সচেষ্ট থাকার আশ্বাস দিয়ে তিনি সবাইকে সংযমের সঙ্গে শান্তি রক্ষায় সহযোগিতার আহ্বান জানান।
ওলি সরকারের পতনের পেছনে মূল ভূমিকা রাখে জেন-জি নামে পরিচিত তরুণ প্রজন্মের আন্দোলন। তারা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে তিনজনের নাম প্রস্তাব করেছে—দেশটির প্রথম নারী প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি, র্যাপার থেকে কাঠমান্ডুর মেয়র হওয়া বালেন্দ্র শাহ এবং সাবেক বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কুলমান ঘিসিং।
সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞার ঘোষণার পর আন্দোলনের সূচনা হয়। দ্রুতই তা ছড়িয়ে পড়ে বেকারত্ব, দুর্নীতি ও রাজনীতিবিদদের বিলাসী জীবনযাপনের বিরুদ্ধে ক্ষোভে। যদিও পরে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়, নিরাপত্তা বাহিনীর দমন-পীড়নে কয়েকজন বিক্ষোভকারীর মৃত্যুর পর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সরকারি স্থাপনা ও রাজনৈতিক নেতাদের বাসভবনে হামলার ঘটনাও ঘটে।
পুলিশ নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হলে সেনাবাহিনী নিরাপত্তার দায়িত্ব নেয়। পাশাপাশি আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসে অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্ব নির্ধারণে সমাধান খোঁজার চেষ্টা করছে।