সুব্রত চৌধুরী, আটলান্টিক সিটি থেকে:
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সি অঙ্গরাজ্যের আটলান্টিক সিটি হাই স্কুলের দ্বাদশ গ্রেডের সমাপনী পরীক্ষায় কৃতিত্বের সঙ্গে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মেধাবী শিক্ষার্থী তানজিয়া চৌধুরী। শুধু এখানেই শেষ নয়, তার এই অসামান্য ফলাফলের স্বীকৃতি স্বরূপ সে পেয়েছে বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুলব্রাইট স্কলারশিপ—যা যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে একটি বড় অর্জন।
২০০৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণকারী তানজিয়ার পৈতৃক নিবাস বাংলাদেশের সিলেট জেলার বরইকান্দি গ্রামে। তার বাবা মরহুম মইনুল ইসলাম ও মা রুকিয়া চৌধুরী। এক ভাই ও তিন বোনের মধ্যে সে সবার ছোট। ছোটবেলা থেকেই তানজিয়া পড়ালেখার পাশাপাশি যুক্ত ছিল বিভিন্ন সৃজনশীল কার্যক্রমে। অবসরে ছবি আঁকা, সাহিত্যচর্চা ও বিজ্ঞানভিত্তিক প্রকল্প নিয়ে ব্যস্ত থাকতো সে।
তানজিয়ার আদর্শ ও প্রেরণার উৎস তার মা। জীবনের প্রতিটি ধাপে মায়ের সহযোগিতা ও উৎসাহই তাকে এগিয়ে যেতে সহায়তা করেছে বলে জানায় তানজিয়া। ভবিষ্যতে সে নিউরোলজিস্ট হওয়ার স্বপ্ন দেখছে। চিকিৎসাবিদ্যায় উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করে মানবতার কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করাই তার লক্ষ্য।
তানজিয়ার মতে, ‘স্বপ্ন দেখতে হবে বড় করে, আর সেই স্বপ্ন পূরণে প্রয়োজন নিষ্ঠা, অধ্যবসায় ও সময়ানুবর্তিতা।’ নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে সে পরামর্শ দিয়েছে, “পড়ালেখার প্রতি মনোযোগী হও, মা-বাবা ও শিক্ষকদের সম্মান করো, আর কখনও হাল ছেড়ো না।”
আটলান্টিক সিটির স্থানীয় বাংলাদেশি কমিউনিটিতে তানজিয়া চৌধুরী এক পরিচিত মুখ। সদালাপী ও বন্ধুবৎসল এই কিশোরী তার ভবিষ্যৎ সাফল্যের জন্য সবার দোয়া কামনা করেছে। কমিউনিটির গর্ব তানজিয়া আজ প্রমাণ করেছে—দৃঢ় সংকল্প আর সঠিক দিকনির্দেশনা থাকলে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকেই উদ্ভাসিত হওয়া সম্ভব।