সুব্রত চৌধুরী, আটলান্টিক সিটি থেকে
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সির আটলান্টিক সিটি হাই স্কুলের সমাপনী পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জন করে ‘সেরা ছাত্রী’-এর মর্যাদা পেয়েছে ফাইজা ফারুক। ২৩ জুন সোমবার, ঐতিহাসিক জিম হুইলান বোর্ডওয়াক হলে আয়োজিত গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানে ভ্যালেডিকটোরিয়ান হিসেবে বক্তব্য দিয়ে সে সবাইকে মুগ্ধ করে। তার অসাধারণ ফলাফলের স্বীকৃতিস্বরূপ ফাইজা পেয়েছে বিশ্বখ্যাত ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার সুযোগ, যেখানে সে ফুল স্কলারশিপে পড়বে।
২০০৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেয়া ফাইজার পারিবারিক শেকড় বাংলাদেশের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে। বাবা ফারুক খান ও মা ফারজানা খন্দকারের তিন সন্তানের মধ্যে সে মেজো। ছোটবেলা থেকেই লেখাপড়ার পাশাপাশি সে যুক্ত ছিল আঁকিবুঁকি, খেলাধুলা ও সামাজিক নেতৃত্বে। স্কুলের স্টুডেন্ট ফোরামের সভাপতির দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে সে নেতৃত্বের প্রতিভারও স্বাক্ষর রেখেছে।
ফাইজা আইভি লীগের অন্তর্ভুক্ত প্রিন্সটন, ইয়েল, কলম্বিয়া ও ইউ পেন—এই চারটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই ভর্তি হওয়ার প্রস্তাব পেয়েছিল। কিন্তু নিজের পছন্দের বিষয়ের ওপর গভীর গবেষণার সুযোগ বিবেচনায় সে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়কেই বেছে নেয়। ভবিষ্যতে একজন দক্ষ আইন বিশেষজ্ঞ হয়ে মানুষের অধিকার রক্ষায় কাজ করাই তার লক্ষ্য।
ফাইজা জানায়, তার এই পথচলায় বড় ভাইয়ের অনুপ্রেরণা ও দিকনির্দেশনাই ছিল সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আর তার জীবনের প্রিয় ব্যক্তিত্ব হলেন তার স্কুলবন্ধু রিয়ানা, যার সঙ্গে সে সবসময় চিন্তাশীল আলোচনায় মগ্ন থাকতো।
উত্তরসূরি শিক্ষার্থীদের জন্য ফাইজার পরামর্শ: “সেরাটা দাও, সেরাটা ফিরে পাবে। মা-বাবা ও শিক্ষকদের পরামর্শ গুরুত্বসহকারে মেনে চলো—তাহলেই সফলতা অনিবার্য।”
আটলান্টিক সিটির চেলসি হাইটসে বসবাসকারী সদালাপী, বন্ধুভাবাপন্ন ও মেধাবী এই কিশোরী তার ভবিষ্যৎ সাফল্যের জন্য সবার দোয়া কামনা করেছে। কমিউনিটির গর্ব ফাইজা আজ প্রমাণ করেছে—ইচ্ছা, শ্রম ও নেতৃত্বগুণ থাকলে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে আকাশ ছোঁয়া সম্ভব।