নিউইয়র্কের জনপ্রিয় কন্ঠ শিল্পী গানের ফেরিওয়ালা রাজীবে আজ জন্মদিন। এশিয়ান পোষ্ট ইউ এস সাংবাদিক এনাম চৌধুরীর সাথে জনপ্রিয় শিল্পী রাজীবের একান্ত আলাপচারিতা। সময়টা ছিল ২০০২ সালের ১ জানুযারী। ইংরেজী নববর্ষ উপলক্ষে কলকাতকর সায়েন্স সিটির দর্শকপূর্ণ অডিটোরিয়ামে , গ্রীনরূপে বসেছিলেন উপমহাদেশের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী মান্না দে। সাথে ছিলেন প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী নচিকেতা চক্রবর্ত্তী ও প্রখ্যাত মিউজিসিয়ানরা অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করলেন বাংলাদেশ থেকে আগত মান্না দের এক অনুভক্ত সুদর্শন যুবক। প্রথমে পরিচয় ও পরবর্তীতে আলাপচারিতার ফাঁকে কটি গানের স্থায়ী ও অন্তরা স্বয়ং মান্না দে’কে শোনান। অসীম সাহসী দরদভরা কণ্ঠে যুবকের গান শুনে তিনি তার মাথায় আর্শীবাদের হাত বুলিয়ে দিয়ে বললেন সাধনা চালিয়ে যাও। সেদিনের স্বর্নালী সন্ধ্যার সেই যুবকের নাম আজকের রাজীব ভট্টাচার্য্য।
রাজীব গান করছেন প্রায় তিন দশকের কাছাকাছি। একান্ত সাক্ষাৎকারে রাজীব বলেন, গানের সঙ্গে সখ্যতা মুখে বোল ফোটার পর থেকেই। বাবা কম্পতর ভট্টাচার্য্য ও কাকা চক্রপাণি ভট্টাচার্য্য বাংলাদেশের খ্যাতিমান লোককবি। পিতার কাছেই রাজীবের গানের হাতেখড়ি। এরপর শাস্ত্রীয় সংগীতে তালিম নেন দেশবরেণ্য উস্তাদ নীরোদ বরন বড়ুয়ার কাছে পরে শিখেছেন প্রখ্যাত সুরকার ও সংগীতপরিচালক শেখ সাদী খান, খন্দকার নুরুল আলম, বাসুদেব ঘোষ প্রমুখ। শৈশব থেকে নানা গুনী জনের সান্নিধ্যে ও বয়স বাড়ার পাকাপোক্ত হয়েছে নিজের অভিজ্ঞতার ঝুলি। নব্বই দশকের ব্যান্ডসংগীতের জাগরনের সময়ে ব্লাশ টেন এ পড়ার সময়ে নিজেই গড়ে তুলেন ব্যান্ডদল রাইস এন্ড রিদম, মূলত তখন থেকেই প্পেশা হিসেবে গানের সঙ্গে ভালোবাসা ও সম্পৃক্ততা। আর তা দিনে দিনে পরিনত করেছে তারকা সংগীতশিল্পী রাজীবকে,
রাজীবের সংগীত পরিবেশনায় অন্যতম প্রধান গুন হল তিনি অধুনিক, রবীন্দ্র, নজরুল, ফোক, ব্যান্ড প্রভৃতি ঘরানার গানে সমান পারদর্র্শি। দর্শকস্রোতাদের মোহবিষ্ট করে ভার্সেটাইন দিকটি ফুটিয়ে তুলতে পারেন। সংগীত জীবনের শুরুর দিকে বাংলাদেশে বেতার ও টেলিভিশনে তার প্রচারিত গান শুনে মানুষের মনে প্রতিশ্রুতিবান গায়কের স্থান পায়। রাজীব তার অনুশীলন এবং ক্রমাগত চেষ্টার ফলে বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের ক শ্রেণীর তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে নিয়মিত গান পরিবেশন করে আসছে।
রাজীব দীর্ঘদিন ধরে মঞ্চে , টিভিতে সুনাম ও দাপটের সাথে অনুষ্ঠান করে আসছে।বর্তমানে রাজীব আমেরিকা বসবাস করেছন। দীর্ঘদিন ধরেই আমেরিকায় বসবাস পাশাপাশি গানের ট্রতি তার ভালোবাসায় অসংখ্য এ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে।এর মধ্যে তুমি বড় স্বার্থবার, জানি আসার ফিরে, আকাশ কাশ নীলা, ফেরারী স্বপ্ন, ইত্যাদি মিক্সড এলবাম। প্রকাশিত এইসব এলবামের গানে প্রখ্যাত সুরকার ছাড়াও লেজারভিশনের ব্যানারে বাসুদেব ঘোষ এর সংগীত পরিচালনায় বাংলাদেশও ভারতের শিল্পীদের গাওয়া ঝরাপাতা শীর্ষক মিক্সড অডিও এ্যালবামে রাজীবে সাথে গানে কণ্ঠদিয়েছেন প্রখ্যাত শিল্পী নচিকেতা; সুবীর নন্দী, সুদেষ্ণা গাঙ্গুলী, প্রিয়াংকা গোপ প্রমুখ। সুরকার বাসুদেব ঘোষের সুরে তিনি “সূর্যালোকে শাণিত প্রানের গান” শীর্ষক পাঁচশো গানের একটি বড় দেশাত্বকবোধক গানের অ্যালবামের পাঁচটি গানে ও কন্ঠ দিয়েছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রে থাকাকালীন অবস্থায় ভারতের কলকাতা হতে প্রকাশিত প্রখ্যাত সংগীত পরিচালক ম্যাক ডি শুভেন্দুর সংগীতায়োজনে সুরকার উত্তমকুমার দত্তের সুরে ও সুজন কুমার মজুমদারের কথায় রাজীবের গাওয়া ” আমি আবার সবুজ হবো গানটি গতবছর ঈদের বিশেষ নাটক “খুন পোকার গল্প” এ টাইটেল সং পরবর্তীতে হিসেবে প্রচারের মাধ্যমে শ্রোতাদের কাছে সমাদৃত হয়। পরে যুক্তরাষ্ট্রে তার দুটো মৌলিক গানের মিউজিক ভিডিও নির্মিত হয়। শৈশব থেকেই তিনি গানের জন্য অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। ২০০৬ সালে এন, টিভির জনপ্রিয় বাংলা গানের রিয়েলিটি শো ” ক্লোজ আপ ওয়ান প্রতিযোগীতার অংশগ্রহন করে কৃতিত্বের সাক্ষর রাখেন এবং দেশ- বিদেশের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করার ডাক পান। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব সম্মাননা, মিডিয়া- জার্নালিষ্ট ফোরাম, ঢাকা এ্যাওয়ার্ড, সমব্কাল সম্মাননা, সেরা গায়ক, কোলকাতা সম্মাননা, ফোবানা ইউ এস , সুবীর নন্দী- এডুকিশোর- আইয়ুব বাচ্চু স্মৃতি পদক ইত্যাদি সম্মাননা পান।
শেখ সাদী খান
(বীর মুক্তিযোদ্ধা, একুশে পদক প্রাপ্ত সুরকার, সংগীত পরিচালক ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিক) স্নেহধন্য রাজীব আমার সুর ও সংগীত পরিচালনায় সাম করেছে যা ইতিমধ্যে শ্রোতানন্দিত হয়েছে। আমি তার সংগীতময় আগামী দিনগুলোর সফলতা কামনা করছি। তার জন্য রইলো অনেক দোয়া ও অয্যুরন্ত ভালোবাসা।
রথীন্দ্রনাথ রায়:
(বীর মুক্তিযোদ্ধা, একুশে পদক প্রাপ্ত সংগীত শিল্পী, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিক) স্নেহাস্পদ অনুজ রাজীব এর গান শুনেছি। তার কণ্ঠশৈলী, গায়কী ও শব্দ প্রস্পেন সব মিলিয়ে সে একজন অনবদ্য প্রতিশ্রুতিশীল সংগীত শিল্পী। তার সুগীত জীবন অফ অনন্য উচ্চতায় প্রতিষিত হোক। এই কামনায় তার জন্য রইলো প্রানসয় আর্শীবাদ ও শুভেচ্ছা।
দেবু চৌধুরীঃ
(তবলাশিল্পী, বীরমুক্তিযোদ্ধা, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দ সৈনিক) “বাজীর”. সঙ্গীত নিয়ে তোমার আগামীদিনের স্বপ্ন সার্থক রূপ এ সুদটর বিশ্বাস। ঈশ্বর তোমার মনের সকল লাভ করবে এবছর আশা পূর্ণ করুক এই প্রার্থনা তাঁর চরণে।
তপন চৌধুরী:
(দেশবরেণ্য নন্দিত কন্ঠশিল্পী) উত্তর আমেরিকা তথা বাংলাদেশের নন্দিত সুগায়ক “রাজীব ভট্টাচার্য্য” আমার পছন্দের সংগীতশিল্পী। তার সাবলীল সংগীত পরিবেশনা আমাকে বিমোহিত করে। পরমকরুণাময়ের কাছে তার সার্বিক মঙ্গল কামনা করি। তার শূন্য রইলো আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।
ফোয়াদ নাসের বাবুঃ
(প্রখ্যাত সুরকার, সংগীত পরিচালক ও কিবোর্ড শিল্পী) আমার সুর ও সঙ্গীত পরিচালনায় রাজীব গান করেছে। যা ইতিমধ্যে শ্রোতাদের মন জয় করেছে। সেধাধা এই শিল্পীর অনবদ্য গায়নশৈলী প্রশংসার দাবী রাখে। তার সঙ্গীত জীবনের পথচলা সমৃদ্ধ হোক এট কামনায় তার ভাতি রইলো আমার দোয়া ও আন্তরিক ভালোবাসা।
লুৎফর নাহার ( নন্দিত নাট্যশিল্পী ও বাচিক শিল্পী ) রাজীব আমার প্রিয় একজন সংগীত শিল্পী। যুক্ত রাষ্ট্রে তার সাথে আমার পরিচয়। তারপর থেকে মঞ্চ এবং মিডিয়ার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তার প্রানবন্ত সংগীত পরিবেশনা আমাকে মুগ্ধ করেছে। প্রবাসে রাজীব একমাত্র সংগীত শিল্পী যে সংগীতের বিভিন্ন ধারার গানে সমানভাবে পারদর্শী। জানামতে সম্প্রতি কোলকাতায় রেকর্ডকৃত তার বেশকিছু মৌলিক গান রিলিজের অপেক্ষায় রয়েছে।তার এই গানগুলো শ্রোতাদের হৃদয়ে স্থায়ী আসন গড়বে এই আমার বিশ্বাস। তার জন্য রইলো অনেক শুভকামনা।
শিল্পী রাজীব সম্পর্কে নিউইয়র্কের মাটি ব্যান্ডের দলনেতা ও কিবোর্ড বাদক
পার্থ গুপ্ত
রাজীব একজন মেলোডি গায়ক। তার কন্ঠে যেকোনো ধরনের গান মানায়। দীর্ঘদিন ধরে রাজীব আমাদের মাটি ব্যান্ডের সাথে গান পরিবেশন করে আসছে। তার কন্ঠে প্রতিটি গানই অত্যান্ত শ্রুতিমধুর। আমি তার জন্মদিনে ফুলেল শুভেচছা ও ভালোবাসা জানাচ্ছি। ভবিষ্যতে আরো বড় গায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করুক রাজীব সম্পর্কে নিউইয়র্কের অনতম ইভেন্ট অর্গানাইজার
এনাম চৌধুরী
রাজীব প্রথমত একজন বিনয়ী ভালো মনের মানুষ। সময় মেইন টেইন যথাসময়ে স্টেজে উপস্থিত হয়। রাজীব এর গানের জন্য সবগুলো স্টেটে চাহিদা থাকে।তার গান পরিবেশনা স্টেজ পারফরম্যান্স দারুণ। দর্শকরা দারুণ ভাবে তার গান উপভোগ করেন। আমি রাজীবের উত্তোতর সাফল্য কামনা করি।
লিটন চৌধুরী
রাজীব সম্পর্কে মেগাস্টার এন্টারটেইনমেন্ট এর কর্নধার , অর্গানাইজার লিটন চৌধুরী বলেন, রাজীব বলতে আমি বুঝি মঞ্চ কাপানো লাল ,কালো ,ধুসর ক্যাপ পরা এক ভার্সেটাইল শিল্পী যে নিজেকে প্রমাণ করেছে তার অনন্য যোগ্যতায়। নিরহংকারী ও গুনী এই শিল্পীর জন্মদিনে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা আমি তার জন্মদিনে শুভেচ্ছা ও আন্তরিক ভালোবাসা জ্ঞাপন করছি।
আগামী ২৮ শে ডিসেম্বর, আমাদের প্রিয় শিল্পী রাজীব এর শুভ জন্মদিন। শুভ হোক। জীবন সার্থক হোক, ভালো ও সুস্থ থাকুক আমাদের প্রিয় রাজীব। তার পথচলা সংগীতময় হোক এই কামনায়ঃ জয়তুঃ রাজীব।