নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনের ডেমোক্রেটিক প্রাইমারিতে নাটকীয় জয় পেয়েছেন জোহরান মামদানি। তিনি সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুওমোকে পরাজিত করে ডেমোক্রেটিক দলের মনোনয়ন নিশ্চিত করেছেন। ৯৫ শতাংশ ভোট গণনার পর মামদানি পেয়েছেন ৪৪ শতাংশ ভোট, যেখানে কুওমো পেয়েছেন ৩৬ শতাংশ।
ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার মাত্র ৯০ মিনিটের মধ্যেই ৬৭ বছর বয়সী কুওমো পরাজয় স্বীকার করে নেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “আজকের রাতটি মামদানীর, সে এটি প্রাপ্যভাবেই জিতেছে।”
৩৩ বছর বয়সী মামদানি নিউ ইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলির একজন প্রগতিশীল সদস্য এবং ডেমোক্রেটিক সোশালিস্টস অব আমেরিকার সঙ্গে যুক্ত। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই সামাজিক ন্যায়বিচার, ভাড়াটে অধিকার ও অভিবাসীদের পক্ষে কাজ করে আসছেন।
এই নির্বাচনী লড়াইয়ে আদর্শগতভাবে দুজন প্রার্থীর অবস্থান ছিল বিপরীত মেরুতে। কুওমো একজন পরিচিত মধ্যপন্থী রাজনীতিক, যিনি তার প্রশাসনে রিপাবলিকানদের নিয়োগ দিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন। অপরদিকে, মামদানি ছিলেন স্পষ্টতই বাম ঘরানার রাজনীতিক, যিনি গণভিত্তিক আন্দোলনের পক্ষে জোরালো কণ্ঠ।
নিউইয়র্ক সিটি ঐতিহ্যগতভাবে ডেমোক্রেটিক দলপন্থী হওয়ায় আগামী ৪ নভেম্বরের সাধারণ নির্বাচনে মামদানিকেই ফেভারিট হিসেবে দেখা হচ্ছে। যদি তিনি বিজয়ী হন, তবে তিনিই হবেন নিউইয়র্ক সিটির ইতিহাসে প্রথম মুসলিম এবং প্রথম এশীয়-আমেরিকান মেয়র।
তার বিজয়ে নিউইয়র্কের তরুণ ও অভিবাসী সমাজে ব্যাপক উৎসাহ দেখা গেছে। অনেকেই এটিকে শহরের রাজনৈতিক বাস্তবতায় পরিবর্তনের ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন।
জোহরান মামদানির এই জয় শুধু একজন প্রার্থীর নয়, বরং এটি বহুত্ববাদী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নিউইয়র্কের এক নতুন অধ্যায়ের শুরু হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।