যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্টে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। শনিবার দলটির প্রেস উইংয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষ থেকে শুক্রবার ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্টে অংশ নিতে এ আমন্ত্রণ জানানো হয়।
আসুন জেনে নেই ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট বা জাতীয় প্রার্থনা প্রাতরাশ আসলে কি?
ব্রেকফাস্ট ইভেন্টটি বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব, পাদ্রী, নির্বাচিত কর্মকর্তা এবং উদ্যোক্তাদের একটি সমাবেশ। যা সাধারণত ফেব্রুয়ারির প্রথম বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিত হয়। মার্কিন এই বার্ষিক অনুষ্ঠানটি প্রথমে প্রেসিডেন্সিয়াল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট নামে পরিচিত ছিল। পরে ১৯৭০ সালে এর নামকরণ হয় ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট। বিভিন্ন জায়গায় সরকারী নেতার উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে যে ব্রেকফাস্ট এবং কো-এর প্রভাব বিদেশী নেতাদের রাষ্ট্রপতির কাছে অ্যাক্সেসের প্রস্তাব দেয় যা ” স্টেট ডিপার্টমেন্ট এবং স্বাভাবিক যাচাইকরণকে বাধা দেয়… যে এই ধরনের বৈঠকের প্রয়োজন হবে,” এবং অন্যান্য অংশগ্রহণকারীরা ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তাদের অংশগ্রহণের উদ্দেশ্য ছিল রাজনৈতিক।
কে বা কারা এইু অনুষ্ঠানে দাওয়াত পেয়ে থাকে?
প্রতি বছর বেশ কিছু অতিথি বক্তা জাতীয় প্রার্থনা প্রাতঃরাশের সাথে যুক্ত বিভিন্ন ইভেন্টে যান। যাইহোক, প্রধান অনুষ্ঠান, বৃহস্পতিবার সকালের নাস্তায় সাধারণত দুইজন বিশেষ অতিথি বক্তা থাকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি এবং একজন অতিথি যার পরিচয় সেই সকাল পর্যন্ত গোপন রাখা হয়। অতীতের মূল বক্তাদের মধ্যে অন্যতম হিসেবে মাদার তেরেসা এবং বিল ফ্রিস্টরে নামও রয়েছ।
এই উৎসবের প্রচলন কবে থেকে?
জাতীয় প্রার্থনা প্রাতঃরাশের উত্সটি ১৯৩০ এর দশকে আব্রাহাম ভেরিড দ্বারা আয়োজিত। যেখানে সিয়াটেলের ব্যবসায়িক এবং নাগরিক নেতাদের সাথে প্রার্থনার গোষ্ঠীগুলিতে একত্রিত হতো। এই বার্ষিক ইভেন্টে প্রার্থনা, রাজনীতি এবং ব্যবসাসহ সম সাময়িক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে আসে। তাই এতে যোগদান মার্কিন প্রেসিডেন্টদের জন্য একটি প্রধান বিষয় হয়ে উঠেছে।বার্ষিক এই অনুষ্ঠানে প্রথমবারের মতো ১৯৫৩ সালে দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোয়াইট ডি. আইজেনহাওয়ার যোগ দেন। পরবর্তীতে তার উত্তরসূরিরাও তার পদাঙ্ক অনুসরণ করেন।
কিসের ইঙ্গিত পেলো বিএনপি ?
দেশের এমন বিশেষ অবস্থায় এবং দীর্ঘ ১৭ বছর ক্ষতার বাইরে থাকার পরেও মার্কিন প্রশাসনের এমন আামন্ত্রণ কোন ইঙ্গিত দিলো বিএনপিকে?